শনিবারের বারবেলা: ২ টোয় শতাব্দী, ৩ টেয় রাজীব, ফেসবুকে নজর তৃণমূল, বিজেপির! এরপর কে, শুরু কাউন্টডাউন

বঙ্গ রাজনীতির সুপার স্যাটারডে

সপ্তাহের শেষ দিন শনিবার। সেই আপাত নিরামিষ শনিবারই ভোটমুখী বাংলায় হাজির দলবদলের সুপার স্যাটারডে হয়ে! রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জি আগেই জানিয়েছেন শনিবার দুপুর ৩ টায় ফেসবুকে ভবিষ্যৎ খোলসা করবেন। কী বলেন রাজীব তা নিয়ে যখন জল্পনা তুঙ্গে ঠিক তখন বোমা ফাটালেন তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। ফেসবুকের ফ্যান পেজে বীরভূমের সাংসদের তরফে দেওয়া একটি পোস্ট আচমকাই শীতের কলকাতার উত্তাপ বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে শতাব্দী জানিয়েছেন, যদি কোনও সিদ্ধান্ত নিই ১৬ জানুয়ারি, শনিবার দুপুর ২ টেয় জানাব। ফলে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দু’দলেরই নজর এখন আটকে শনিবারের ফেসবুকে। 

জল্পনা বাড়িয়ে শতাব্দী শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন বলে জানা যাচ্ছে। রাজধানীতে কি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করবেন? তিনি কি বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে? কোনও প্রশ্নেরই স্পষ্ট জবাব দেননি একদা টালিগঞ্জের তারকা অভিনেতা। আর এই ধোঁয়াশাই এক ধাক্কায় জল্পনার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ। 

২০১১ সালে বাম সরকারকে সরিয়ে রাইটার্সে ঢোকেন মমতা ব্যানার্জি। তারপর কেটে গিয়েছে ১ দশক। ফের একটি বিধানসভা ভোটের মুখে দাঁড়িয়ে বাংলা। এই পর্বে একটি গুরুত্বপূর্ণ বদল হল, রাজ্যের বিরোধী স্পেসের দখল বিজেপির হাতে চলে যাওয়া। বাম-কংগ্রেস এখন পেছনের সারিতে। এই প্রেক্ষিতে ভোটের ঠিক মুখে শাসক দলের একাধিক সদস্য বিভিন্ন অসন্তোষের অভিযোগ করে ঘাসফুল ছেড়ে পদ্ম ফুলে নাম লিখিয়েছেন। এই তালিকায় সর্বাপেক্ষা উজ্জ্বল নাম শুভেন্দু অধিকারীর। তারপরই আসে বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির নাম। বেসুরো বাজছেন বটে তবে রাজীব বিজেপিতেই যাচ্ছেন কী না তা এখনও স্পষ্ট নয়। শনিবার দুপুর ৩ টেয় ফেসবুক লাইভে ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা খোলসা করবেন ডোমজুড়ের তৃণমূল বিধায়ক। তার ১ ঘণ্টা আগেই মনের কথা জানাবেন শতাব্দী। অবশ্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তবেই তিনি লাইভে আসবেন বলে জানিয়ে রেখেছেন। এখন প্রশ্ন হল কী সিদ্ধান্ত নেবেন শতাব্দী রায়? তার চেয়েও বড়ো প্রশ্ন হয়ে উঠছে এরপর কে? 

শতাব্দী রায় বলছেন, যেভাবে মানুষের কাছে পৌঁছতে চাইছি, সেভাবে পৌঁছতে পারছি না। কিন্তু তিনি দলনেত্রীকে জানালেন না কেন? শতাব্দীর উত্তর, তাঁর মনে হয় নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও লাভ হবে না। যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা নেই সেই পদে থাকা অর্থহীন, সংযোজন বীরভূমের তৃণমূল সাংসদের।

বনমন্ত্রী রাজীব ব্যানার্জির সঙ্গে অবশ্য একাধিকবার কথা বলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু সমাধানসূত্র মেলেনি। এমনকী দলনেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাবও নাকি ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজীব ব্যানার্জি বলে খবর। এই অবস্থায় প্রথম প্রশ্ন হল রাজীব-শতাব্দী কি বিজেপিতে যাচ্ছেন? তাই যদি হয় তাহলে অবশ্যম্ভাবী লেজুড় প্রশ্ন, এরপর কে?

Comments are closed.