সিবিআই-এর অন্তবর্তীকালীন ডিরেক্টর পদে নাগেশ্বর রাওয়ের নিয়োগ নিয়ে মন্তব্য করায় আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে আদালত অবমাননার নোটিস পাঠাল সুপ্রিম কোর্ট।
গত ১১ ই জানুয়ারি সিবিআই ডিরেক্টরের পদ থেকে অলোক ভার্মাকে সরিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য নাগেশ্বর রাওকে অন্তর্বর্তীকালীন ডিরেক্টর হিসেবে নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের কমিটি। নাগেশ্বর রাওয়ের এই নিয়োগকে চ্যালেঞ্জ করে গত মাসে মামলা দায়ের করে কমন কজ নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
১ লা ফেব্রয়ারি এই প্রসঙ্গে আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ একটি ট্যুইটে কেন্দ্রকে কটাক্ষ করেন। তিনি ওই ট্যুইটে লেখেন, ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন কমিটির সদস্য বিরোধী নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের থেকে তিনি নিশ্চিত হয়েছেন, সিবিআই-এর অন্তবর্তীকালীন প্রধান হিসেবে নাগেশ্বর রাওকে দ্বিতীয়বার নিয়োগ করা নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি অন্য সদস্যদের সঙ্গে। সরকার আদালতকে ভুল পথে পরিচালিত করছে বলে, ওই ট্যুইটে অভিযোগ করেন তিনি।
তাঁর এই অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। অ্যাটর্নি জেনারেল সুপ্রিম কোর্টে জানান, ওই ট্যুইটে সরকারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। কোনও বিচারাধীন বিষয়গুলি নিয়ে আইনজীবীরা ট্যুইট করতে পারেন কিনা, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করা উচিত বলে শীর্ষ আদালতে সওয়াল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
অন্যদিকে, সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণকে কটাক্ষ করে বলেন, যেহেতু প্রশান্ত ভূষণের এই কাজ প্রথম নয়, তাই তাঁর শাস্তি চায় কেন্দ্র।
সুপ্রিম কোর্টের এই নোটিসের উত্তর দেওয়ার জন্য তিন সপ্তাহ সময় চেয়েছেন আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। আগামী ৭ মার্চ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা।
Comments are closed.