‘নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তো?’ নির্বাচন কমিশনকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোট শুরুর আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ দায়ের হয়েছে কমিশনের দফতরে। কিন্তু অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ করছে না কমিশন, অভিযোগ বিরোধীদের। এই প্রেক্ষিতে অন্য একটি মামলার শুনানিতে, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট।
কোনও রাজনৈতিক দল ধর্ম ও জাতি বিভাজনের ভিত্তিতে ভোট চাইলে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে, এই মর্মে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন অনাবাসী ভারতীয় হরপ্রীত মনসুখানি। সোমবার এই মামলার শুনানিতে উঠে আসে যোগী আদিত্যনাথের ‘মোদীজি সেনা’ বা মায়াবতীর বিতর্কিত মন্তব্যের প্রসঙ্গ। এঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে নির্বাচন কমিশন কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তা জানতে চান সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিনি বলেন ‘যদি কেউ এমন কিছু করে থাকেন, যা তাঁর করা বারণ, তবে কমিশনের অবশ্যই হস্তক্ষেপ করা উচিত।’
প্রধান বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশন জানায়, মায়াবতীর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাঁর জবাব তলব করা হয়। কিন্তু ১২ ই এপ্রিলের মধ্যেও তাঁর প্রতিক্রিয়া জানাননি মায়াবতী বলে শীর্ষ আদালতকে জানায় কমিশন।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর পাল্টা প্রশ্ন, এ পর্যন্ত কতজন প্রার্থীকে ঠিক ক’টা নোটিস দেওয়া হয়েছে? যোগী আদিত্যনাথের প্রসঙ্গ তুলে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রধান বিচারপতি জানতে চান, তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? কমিশনের তরফে জানানো হয়, মামলাটির নিষ্পত্তি হয়ে গিয়েছে।
ঠিক এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, নিজেদের ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল তো কমিশন? দরকার হলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকেও এই আদালতে হাজির হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে কমিশনের তরফে এক প্রতিনিধিকে আদালত কক্ষে হাজির থাকতে হবে বলেও জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিকে সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার পরই তৎপরতা দেখা যায় নির্বাচন কমিশনের তরফে। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য যোগী আদিত্যনাথকে ৭২ ঘণ্টা এবং মায়াবতীকে ৪৮ ঘণ্টা প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন।

Comments are closed.