তামিলনাড়ুতে দ্বাদশ পাশ যোগ্যতার ফরেস্ট গার্ডের চাকরিতে ৪০ শতাংশই ইঞ্জিনিয়ার!

দেশের বেকারত্বের হার আর কর্মসংস্থানের অভাবের দিকে আরও একবার নজর ঘোরালেন তামিলনাড়ুর ২৫৭ জন ইঞ্জিনিয়ার। উপযুক্ত কর্মসংস্থানের অভাবে তামিলনাড়ুতে ফরেস্ট গার্ডের চাকরি বেছে নিলেন তাঁরা।
সম্প্রতি তামিলনাড়ু ফরেস্ট অ্যাকাডেমিতে (টিএনএফইউআরসি) ৬ মাসের প্রশিক্ষণ শেষে ৫৯৭ জনকে ফরেস্ট গার্ডের কাজে নিয়োগ করা হয়েছে। যাঁর মধ্যে ২৫৭ জনের রয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি। যেখানে চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতা হিসাবে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ চাওয়া হয়েছিল, সেই ফরেস্ট গার্ডের চাকরিতে যাঁরা যোগ দিলেন, তাঁদের ৪০ শতাংশই ইঞ্জিনিয়ার!
ফরেস্ট গার্ডের পদে নিয়োজিত এই ২৫৭ জনের মধ্যে ২২৭ জনের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি (বিই) রয়েছে। ৩০ জন ফরেস্ট গার্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করেছেন। শুধু তাই নয়, মোট ৫৯৫ জন ফরেস্ট গার্ডের মধ্যেও রয়েছে বিজ্ঞান বিভাগে বিএসসি ও এমএসসি পাশ করা পড়ুয়ারা। বিজ্ঞানের নানা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি রয়েছে ১৫০ জনের। কয়েকজনের এমফিল, এমবিএ ডিগ্রিও আছে।
যাঁরা দ্বাদশ শ্রেণি পাশ করেছেন এবং বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে তাঁরা এই ফরেস্ট গার্ডের কাজের জন্য আবেদন করতে পারেন। ৩০০ বনকর্মী, ৭২৬ জন ফরেস্ট গার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স সহ আরও ১৫২ জন ফরেস্ট গার্ডের কর্মখালির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল টিএনএফইউআরসি। মোট সাড়ে ৩ লক্ষ প্রার্থী চাকরির জন্য আবেদন করেন। যার মধ্যে ২ লক্ষ ২০ হাজার আবেদনকারী যোগ্য হিসাবে বিবেচিত হন এবং দেড় লক্ষ চাকরি প্রার্থী পরীক্ষায় বসার সুযোগ পান। এঁদের মধ্যেই ২৫৭ জন ইঞ্জিনিয়ার চাকরি পেয়েছেন। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর পাশ করা এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, প্রথমত ফরেস্ট গার্ডের এই কাজটি সরকারি পদ। বেতন শুরু হচ্ছে ১৮ হাজার ২০০ টাকা থেকে। নিজের অর্থনৈতিক অবস্থার কথা ভেবেই এই চাকরিতে যোগ দিচ্ছেন তিনি।
কিছুদিন আগে মুম্বই আইআইটি থেকে এমটেক করা শ্রাবণ কুমার নামে এক ব্যক্তি রেলের ট্র্যাক ম্যানের পদে যোগ দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। সরকারি চাকরির চিরকালীন মোহ হোক বা কর্মসংস্থানের অভাব, তা যে কতটা প্রকট তা আবারও বুঝিয়ে দিলেন ফরেস্ট গার্ডের কাজ নেওয়া ২৫৭ জন ইঞ্জিনিয়ার।

Comments are closed.