মৃত্যুর পর খাটিয়াতে শুয়ে ফোন ঘাটছেন গুনগুন, ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে হাসিমুখে পোস্ট দিচ্ছেন সৌজন্যে! ভাইরাল এই ছবি ঘিরে নেট দুনিয়ায় হাসির রোল উঠেছে

একসময়ের স্টার জলসার অন্যতম সেরা ধারাবাহিক ছিল খড়কুটো। এই ধারাবাহিকের টিআরপি ছিল প্রথম স্থানে। তবে ধীরে ধীরে কমে এসেছিল ছিল এই ধারাবাহিকের গুরুত্ব দর্শকের কাছে। কিন্তু তারপরেও বর্তমানে দেখানো হচ্ছিল গুনগুনের অসুস্থতার পর্ব, সাজির বিয়ে। অন্যদিকে গুনগুনের মৃত্যু নিয়ে বেশ উথাল পাথাল হচ্ছিল খড়কুটো ধারাবাহিকের অনুরাগীদের মন। কিন্তু অভিনেত্রী তৃণা সাহা বা লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় কেউই মুখ খোলেননি যে কি দেখানো হবে তা নিয়ে। সেই ঘটনার কিছু ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় বর্তমানে নেট দুনিয়ায় উঠেছে হাসির রোল।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে আছেন গুনগুন। আবার তার স্বামী সৌজন্য তার পাশে বসে আছেন। এই ধারাবাহিকের গুনগুন ও স্বজনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী তৃনা সাহা এবং অভিনেতা কৌশিক রায়। এই দৃশ্যের শুটিংয়েরই কিছু ছবি সামনে আসে। মাথায় ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় খাটিয়ায় দেখানো হলো মৃত্যু দৃশ্য। সেখানেই সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে ওই অবস্থাতেই শুয়ে অভিনেত্রী তৃনা সাহা নিজের ফোন ঘাটছেন। আর তার পাশে স্বামী সৌজন্য ওরফে অভিনেতা কৌশিক রায় হাসিমুখে পোজ দিচ্ছেন।

শুটিংয়ের বহু দৃশ্য বা বহু ছবি আমরা অভিনেতা অভিনেত্রী অথবা অনেকের কাছ থেকেই পেয়ে থাকি সোশ্যাল মিডিয়ায়। কোন দৃশ্য দেখানোর সাথে তাদের সেই মজা করার ছবি ভাইরাল হওয়ার নিয়ে বেশ হাসির রোল ওঠে নেট দুনিয়ায়। যেমন উঠেছে ঠিক এই ছবিটাকে ঘিরে। এই ছবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাই খিল্লি করছেন যে মৃত্যুর পরেও ফোন ঘাঁটছে গুনগুন। নেটিজেনদের এই খিল্লি কমেন্ট সেকশন থেকে স্পষ্ট।

প্রসঙ্গত গত দু’বছর ধরে এই ধারাবাহিকটি জায়গা করে নিয়েছে মানুষের মনের মনিকোঠায়। ধারাবাহিকের পুটু পিসি, পটকা, গুনগুন এবং তাদের সুপার সেভেনের যে গ্রুপ তা মানুষের মনে চিরকাল এক জায়গা করে রাখবে। মানুষকে ধারাবাহিক এবং গুনগুন কি এতটাই ভালোবেসে ফেলেছিলেন যে অনুরাগীদের মধ্যে কেউই মেনে নিতে পারছিলেন না গুনগুনের মৃত্যু। এই মৃত্যু দেখানো নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই প্রতিবাদ করেন অনুরাগীরা। কিন্তু এক বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ধারাবাহিকের লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “সিরিয়াল কীভাবে শেষ হবে, সেটা একজন লেখকই ঠিক করবেন। সেটা তো সে অন্য কারওর কথা মতো করবেন না। আমি জানি গুনগুনের মৃত্যু অনেককে কষ্ট দিয়েছে। মুশকিল হচ্ছে এটাই যে, মানুষের ধৈর্য খুব কম। শেষ এপিসোড পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তাই নয় কী! সেখানে একটা টুইস্ট আছে… গুনগুন মরেছে কি না, সেটা আমি বলবই না। ২১ তারিখের টুইস্টে আপনারা দেখতে পাবেন সবটা।” আর এখন সবটাই স্পষ্ট।

Comments are closed.