মমতার উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যে ফের বিজেপিতে ভাঙন, কোচবিহারে তৃণমূলে যোগ যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্যের

উত্তরবঙ্গে বিজেপিতে বড়সড় ভাঙন। বুধবার যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য মণীশ কুমার বানিয়া যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁর কয়েকজন অনুগামীও তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন বলে খবর। বিজেপি যুব মোর্চার ওই প্রভাবশালী নেতার দাবি, দলে পুরনো নেতাদের কোনও গুরুত্ব নেই। তাই দলবদলের সিদ্ধান্ত।

বুধবার মণীষ কুমার বানিয়ার হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার পুরসভার পুর প্রশাসক ভূষণ সিং সহ অন্যান্য দলীয় নেতৃত্ব। তৃণমূল সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গ সফরে আসার পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙন শুরু হয়েছে। এখন মণীষ কুমার বানিয়ার মতো বিশিষ্ট বিজেপি নেতা তৃণমূলে যোগদান করলেন। আগামীতে আরও অনেক বড়ো বিজেপি নেতা তৃণমূলে আসছেন।

এর আগে, সোমবারও বিজেপির প্রতীকে নির্বাচিত আলিপুরদুয়ার-১ পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দল নেতা গৌতম সরকার সদলবলে তৃণমূলে যোগ দেন। বর্তমানে উত্তরবঙ্গেই রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেখানেই পরপর দু’দিন যেভাবে বিজেপির ঘর ভাঙল, তাতে আলাদা সাফল্যের স্বাদ পাচ্ছে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতৃত্ব।

এদিকে মণীশ বানিয়ার মতো প্রভাবশালী যুব নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় কিছুটা বিস্মিত বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব। কারণ বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় দলের অবজার্ভার পদেও ছিলেন মণীশ। বিজেপি অবশ্য দাবি করছে, দলকে কিছু না জানিয়েই তৃণমূলে যোগদান করেছেন মণীশ বানিয়া। কোনও অভিমানে হয়ত এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করবে দল বলে জানান উত্তরবঙ্গের বিজেপির নেতা। কিন্তু কয়েকমাস ধরে জেলায় জেলায় বিজেপি ছেড়ে নেতা কর্মীদের যে তৃণমূলে নাম লেখানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে, তা ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের আগে বেশ অস্বস্তিতে রাখছে বঙ্গ বিজেপিকে। সেই জুলাই মাস থেকে শিবির বদল করছেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। কয়েকদিন আগেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের গড় খড়্গপুর থেকে তাঁর অনুগামী কয়েকজন নেতা তৃণমূলে চলে এসেছেন। বিজেপি নেতারা অবশ্য প্রকাশ্যে বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। তাঁদের দাবি, তৃণমূলের থেকেও বেশি যোগদান হচ্ছে বিজেপিতে।

Comments are closed.