ফের বিজেপিতে ভাঙন, পুরুলিয়ায় মণ্ডল সভাপতির নেতৃত্বে শতাধিক নেতা-কর্মীর তৃণমূলে যোগদান

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান অব্যাহত। এবার উত্তরবঙ্গ নয়, বিজেপি ভেঙে তৃণমূল বাড়ল জঙ্গলমহলের পুরুলিয়ায়। তৃণমূলের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডলে জানানো হয়েছে, পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি বিধানসভা ক্ষেত্রের মণ্ডল সভাপতি সহ শতাধিক বিজেপি নেতা-কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।

২১ জুলাই ভার্চুয়াল সমাবেশ থেকে দলনেত্রী ডাক দিয়েছিলেন ঘরে ফেরার। পাশাপাশি জানিয়েছিলেন, যাঁরা অসন্তোষ কিংবা অন্য কোনও কারণে বিজেপিতে সহ অন্য কোনও দলে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা ফিরে আসুন। মমতা ব্যানার্জির এই বার্তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল ভবনে ঘর ওয়াপসি হয় উত্তরবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুরের দাপুটে তৃণমূল নেতা বিপ্লব মিত্র ও তাঁর ভাই গঙ্গারামপুর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত মিত্রের। দলে ফিরে বিপ্লব বলেছিলেন, মমতা ব্যানার্জির হাত শক্ত করতে বাকিরাও ফিরবেন তৃণমূলে। আলিপুরদুয়ারেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সেখানেও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলের যোগ দিয়েছিলেন শতাধিক নেতা কর্মী। এবার লোকসভা ভোটে বিজেপির কাছে ধাক্কা খাওয়া জঙ্গলমহলে বহরে বাড়ল তৃণমূল।

তৃণমূল সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপির সংগঠন সামলানোর ভার ছিল যাঁর উপর, সেই রামেশ্বর মাহাতোর হাত ধরে শতাধিক বিজেপি নেতা কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। বিজেপির বাঘমুণ্ডির মণ্ডল সভাপতি ছিলেন রামেশ্বর মাহাতো। তাঁর নেতৃত্বে পুরো বাঘমুণ্ডি মণ্ডল কমিটিই বিলীন হয়ে গেল তৃণমূলে।

তৃণমূলের তরফে রামেশ্বর মাহাতোদের দলে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন পুরুলিয়া জেলায় তৃণমূলের সভাপতি গুরুপদ টুডু এবং অন্যান্য দলীয় পদাধিকারীরা।

লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গ এবং জঙ্গলমহল, এই দুই জায়গায় বিজেপির কাছে বড়ো ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় প্রথমে উত্তরবঙ্গ, তারপর জঙ্গলমহলে সংগঠন মেরামতিতে হাত দিয়েছেন মমতা ব্যানার্জি। আর সেই সঙ্গেই উত্তরবঙ্গে বিজেপির ঘরে ভাঙনের পরই এবার পুরুলিয়ার মতো বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতেও আঘাত করল তৃণমূল।

Comments are closed.