গোটা দেশে যখন লড়াই চলছে করোনা ঠেকাতে সেখানে বাংলায় ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি। গত কয়েক মাসের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এই ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতেও লাগাতার সরকারের সমালোচনায় সরব রাজ্যপাল। রাজ্যের সমালোচনার জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি বদলায়নি বিশেষ।
ধনখড় লাগাতার সরকারকে আক্রমণের পর অবশেষে মুখ খুলেছে তৃণমূলও। সোমবারের পর মঙ্গলবার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রশ্ন তুললেন, খারাপ কিট নিয়ে চুপ কেন রাজ্যপাল?
সোমবারই দলীয় ওয়েবিনার থেকে রাজভবনের দিকে তীক্ষ্ণ আক্রমণ শানিয়েছিলেন তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ ব্যানার্জি। এবার রাজ্যপালকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চ্যাটার্জি। বললেন, বিরোধী দলনেতার ভূমিকা নিয়েছেন রাজ্যপাল।
মঙ্গলবার তৃণমূলের ওয়েবিনারে তৃণমূলের মহাসচিব বলেন, রাজ্যপালের পদকে সম্মান করি। কিন্তু রাজভবন থেকে যেভাবে তার অপব্যবহার চলছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। রাজ্যপাল বিরোধী দলনেতার মতো আচরণ করছেন। তাঁর মুখে কেবল বিশেষ শিবিরের হয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার কথা। পার্থ চ্যাটার্জি প্রশ্ন তোলেন, কেন্দ্রের পাঠানো খারাপ কিট নিয়ে কিছু বলতে শুনেছেন রাজ্যপালকে? কেন্দ্রের কাছে প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দেওয়ার দাবিতে বারবার দরবার করছেন মমতা ব্যানার্জি। কিন্তু রাজ্যপালকে এ নিয়ে একটি বাক্য কখনও খরচ করতে দেখেছেন, প্রশ্ন তোলেন পার্থ। পাশাপাশি তাঁর মন্তব্য, করোনার মতো ভয়াবহ অতিমারি মোকাবিলা করতে যখন ব্যস্ত রাজ্য সরকার, তখন বিশেষ উদ্দেশ্যে রাজনৈতিক পতাকা ওড়ানো অনুচিত।
রাজ্য পরিদর্শনে আসা কেন্দ্রীয় দলকেও এদিন কটাক্ষ করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব। তিনি বলেন, মহামারি মোকাবিলায় মমতা ব্যানার্জি প্রথম থেকেই কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের কথা বলছেন। কিন্তু কেন্দ্র সমন্বয়ের মোড়কে আমাদের উপর গোয়েন্দাগিরি করতে দল পাঠাচ্ছে। পার্থ চ্যাটার্জির কথায়, তোদের কান টেনে ধরবো, এই মনোভাব নিয়ে চলবো, আবার রাজ্যের কাছে সমন্বয়ও চাইবো, তা কী করে সম্ভব!
সোমবারের পর মঙ্গলবারও তৃণমূলের তরফে ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। তাতে পার্থ চ্যাটার্জি ছাড়াও ছিলেন রাজ্যের ২ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজীব ব্যানার্জি এবং রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন।
সেখানেই রাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য তথ্য গোপনের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, তথ্য গোপনের কোনও প্রশ্ন নেই। এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলাকে কলুষিত করার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন রাজীব ব্যানার্জি। তথ্য পরিসংখ্যান দিয়ে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেছেন ডাক্তার শান্তনু সেন।