‘সময় এলে চরিত্র উদঘাটিত করব’, রাজ্যপালকে নিশানা সুদীপ ব্যানার্জির, ‘বয়স্কদের এখন ঘরে থাকাই ভালো’, কটাক্ষ ডেরেকের

মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির জবাবে ফের ৪ পাতার চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। দেশ তথা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লড়ছে তখন ফের মুখ্যমন্ত্রীকে বেনজির আক্রমণ করা হল রাজভবন থেকে। তা নিয়ে ফের একবার উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতির পারদ। ফের রাজ্যপালকে সরাসরি আক্রমণ শানালেন তৃণমূলের লোকসভা দলনেতা তথা সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জি।
মুখ্যমন্ত্রীকে ফের ৪ পাতার চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজভবন থেকে। সেই চিঠিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় এক জায়গায় লিখেছেন, এ রাজ্যে সরকার ও সিন্ডিকেট কে চালায়, সেই তেতো সত্যিটা সবাই জানে। ধনখড়ের এই রাজনৈতিক নেতা সুলভ বেনজির ভূমিকায় বিস্মিত রাজনৈতিক মহল। এবার এই পত্রযুদ্ধে নয়া মাত্রা যোগ করলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জি।
করোনা মোকাবিলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে তৃণমূলের সংসদীয় দলের ডেরেক ওব্রায়েন, সুদীপ ব্যানার্জি ও দীনেশ ত্রিবেদী সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে ওয়েবিনারে বসেছিলেন। সেখানে রাজ্যপালের এই চিঠি নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জি বলেন, আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক জীবনে অনেক রাজ্যপাল দেখেছি। কিন্তু এই প্রথম দেখছি, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানানো হচ্ছে রাজভবন থেকে। তারপরই সুদীপ ব্যানার্জি বলেন, রাজ্যপালের বিষয়ে যত কম বলা যায় ততই মঙ্গল। এখন মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার সময়। সময় এলে ওনার চরিত্র উদঘাটিত করা হবে। পাশাপাশি সুদীপ ব্যানার্জি রাজ্যপালের চিঠির জবাব দিয়ে সময় নষ্ট করারও বিরোধী বলে জানান।

আরেক তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৬৫ বছরের উপরে যাঁদের বয়স, তাঁদের ঘরের ভিতরে থাকতে বলেছেন। তার পরেই তাঁর কটাক্ষ, বয়স্কদের এখন ঘরে থাকাই তো ভালো। তৃণমূলের জাতীয় মুখপাত্রের মতে, একজন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ কী মন্তব্য করলেন, তা নিয়ে সময় নষ্ট করা বুদ্ধিমানের কাজ না। সঠিক সময়ে তিনি জবাব পাবেন বলেও জানান ডেরেক ও’ব্রায়েন।

Comments are closed.