এয়ার ইন্ডিয়া কেনার দৌড়ে প্রথম সারিতে আদানি গ্রুপ

এয়ার ইন্ডিয়া কেনার দৌড়ে প্রথম সারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘনিষ্ঠ গৌতম আদানির সংস্থা। যদিও ছ’টি বিমানবন্দর পরিচালনার বরাত পাওয়া আদানি গোষ্ঠীকে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সূত্রের খবর, রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া কেনার জন্য আগামী মাসের মধ্যেই এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট (ইওআই)জমা দিতে চলেছে আদানি গোষ্ঠী। গুজরাতের ব্যবসায়ী গৌতম আদানির সংস্থা ছাড়াও টাটা, হিন্দুজা গ্রুপ, ইন্ডিগোর মতো বেশ কিছু সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া কেনার দৌড়ে রয়েছে।
দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় বেসরকারি এয়ারপোর্ট অপারেটর হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা আদানিদের। ইতিমধ্যেই লখনউ, আহমেদাবাদ এবং ম্যাঙ্গালোর বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্ব নিজেদের ঝুলিতে পুরে নিয়েছেন গৌতম আদানি। তাছাড়া তিরুবনন্তপুরম, গুয়াহাটি এয়ারপোর্টের পরিচালনার বরাতও পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। যদিও তিনটি বিমানবন্দরের সরকারি ছাড়পত্রের অপেক্ষায় রয়েছে তারা। এর মধ্যেই এয়ার ইন্ডিয়া কেনার দৌড়ে অন্যান্যদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে মোদী ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীর সংস্থা।
তবে বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, একাধিক এয়ারপোর্ট পরিচালনার বরাত পাওয়া আদানি গোষ্ঠী এয়ার ইন্ডিয়া কেনার ক্ষেত্রে কিছু আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারে। এয়ার ইন্ডিয়া কিনতে কোনও এয়ারপোর্ট ডেভেলপারের নিলামে অংশ নেওয়ায় বাধা না থাকলেও, ছ’টি বিমানবন্দর পরিচালনার বরাত পাওয়া আদানিকে কিছু আইনি সমস্যার মুখে পড়তে হতে পারে। নিলামের শর্ত অনুযায়ী, কোনও এয়ারলাইন্স অথবা কোনও এয়ারলাইন্সের অধিকারী গোষ্ঠী এই ছ’টি বিমানবন্দরের ২৭ শতাংশের বেশি শেয়ার নিতে পারবে না। এই একইরকম বাধার ফলে দিল্লি এয়ারপোর্টের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার না পাওয়ার শর্তে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দর পরিচালনার দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে টাটা-জিআইসি গ্রুপ।
তবে এয়ার ইন্ডিয়া বিক্রি সংক্রান্ত কাজে যুক্ত এক আধিকারিকের দাবি, এ ধরনের কোনও সমস্যার মুখে আদানিদের পড়তে হবে না। কারণ, কেন্দ্রের অন্যতম শর্ত হল, লোকসানে জর্জরিত এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ শেয়ার কিনতে হলে তার ঋণের ভারও সেই সংস্থাকেই বহন করতে হবে । সেক্ষেত্রে নিলামে অংশ নেওয়া সংস্থা কতটা সেই দায়ভার নিতে পারবে তার দিকে নজর থাকবে। ইচ্ছুক সংস্থার সম্পত্তির উপর থাকছে বিশেষ নজর। সেক্ষেত্রে বর্তমানে দেশের অন্যতম ধনী শিল্পপতি গৌতম আদানির সংস্থাই যে অন্যতম পছন্দের তালিকায় থাকবে, তা বলাই যায়। এমনটাই মত ওই আধিকারিকের।

Comments are closed.