আরও ১০০০ ট্রেন যাবে বেসরকারি হাতে, হবে ১০০ নতুন বিমানবন্দর, ঘোষণা বাজেটে

আরও একশো বিমানবন্দর পাবে দেশ, তেজস এক্সপ্রেসের মতো হাজারখানেক ট্রেনের বেসরকারিকরণ করবে কেন্দ্র, বাজেটে ঘোষণা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। শনিবার বাজেট পেশের সময় একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারিকরণের কথা ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে যেমন এলআইসি রয়েছে, তেমনি রয়েছে রেল ও বিমানবন্দরও।

নির্মলার ঘোষণা, ২০২৪ সালের মধ্যে উড়ান প্রকল্পে আরও ১০০ টি বিমানবন্দর তৈরি হবে দেশে। তিনি জানান, ২০২০-২১ সালে পরিবহণ খাতে ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
তেজস এক্সপ্রেসের বেসরকারিকরণের পর প্রচুর ট্রেনকে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামীদিনে ১ হাজার ১৫০ টি ট্রেন পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মোডে চলবে। নির্মলার দাবি, তেজসের মতো ট্রেনই যাত্রীদের অধিক স্বাচ্ছন্দ্যের জায়গা। পাশাপাশি, বেশ কয়েকটি রেল স্টেশনও বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি। বাজেটে তাঁর ঘোষণা, দেশের চারটি বিশেষ স্টেশন বেসরকারি সাহায্যে নতুন করে সাজানো হবে। নির্মলা জানান, রেল ট্র্যাকে সৌর বিদ্যুতের ব্যাপক ব্যবহার বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।
প্রসঙ্গত, তীব্র লোকসানে চলা যাত্রীবাহী ট্রেনগুলিকে বেসরকারিকরণের মাধ্যমে আয় বাড়াতে চাইছে কেন্দ্র। পীযূষ গোয়েলের মন্ত্রক মাস কয়েক আগে জানিয়েছে, বর্তমানে রেলের ১০০ টাকা আয় করতে খরচও হয় ১০০ টাকার কাছাকাছিই। সম্প্রতি এক আরটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, টানা তিন ত্রৈমাসিক ধরে আয় কমে চলেছে যাত্রীবাহী ট্রেনের। রেলের আয় বাড়ানোর এখন মূল জায়গা হল মালবাহী ট্রেন। এই অবস্থায় ঢালাও সংস্কারের জন্য বেসরকারিকরণকেই একমাত্র পথ হিসেবে দেখছে মোদী সরকার।

তীব্র বিরোধিতায় সরব হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূল সহ দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। তাদের অভিযোগ, আর্থিক দুরবস্থার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিক্রি করে নিজেদের আর্থিক পরিকল্পনার ব্যর্থতাকে লুকোতে চাইছে কেন্দ্র।

Comments are closed.