“চুপ করে থাকা মানে অত্যাচারীকেই সাহায্য করা”, নীরব তারকাদের সমালোচনায় নাসির

এবারে কৃষকদের সমর্থনে প্রত্যাশিত ভাবেই মুখ খুললেন বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ। শনিবার একটি ভিডিওতে তিনি মায়ানগরীর তারকাদের কৃষক আন্দোলন নিয়ে নীরবতার তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি বলেন “দেশের বড় বড় সেলিব্রেটিরা যা রোজগার করেছেন, তাতে তাঁদের সাত পুরুষ বসে খেতে পারে। তার পরেও কী এত হারানোর ভয়? ওঁরা তো চুপ করে আছেন এই ভেবে যে, মুখ খুললে অনেক কিছু হারাতে হতে পারে”।  

দিল্লিতে কৃষক আন্দোলন নিয়ে দেশের তারকাদের একটা বড় অংশই নীরব ছিলেন। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটে মার্কিন পপ তারকা রিহানা ও পরিবেশ আন্দোলন কর্মী গ্রেটা থুনবার্গের ট্যুইটের পর। বিদেশিদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মত প্রকাশ ভালোভাবে নেয়নি দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে রিহানাদের ট্যুইটের কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের ঐক্যের পক্ষে জোর সওয়াল করে রিহানাদের বিরুদ্ধে ট্যুইট করেন সচিন, বিরাট, অক্ষয়কুমার থেকে শুরু করে দেশের তাবড় তাবড় সেলিব্রেটি। স্রোতের উল্টো মুখে গিয়ে তাপসী পান্নু, কঙ্কনা সেনশর্মাদের দেখা যায় রিহানাদের সমর্থনে ট্যুইট করতে। 

[আরও পড়ুন- হিমবাহ ভেঙে বিরাট তুষারধস নামল জোশীমঠে, নিখোঁজ ১৫০]

কৃষক অসন্তোষ থেকে লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের দুর্গতি সবই উঠে এসেছে এদিন নাসিরের সাক্ষাৎকার। বর্ষীয়ান এই অভিনেতা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “দিনের শেষে শত্রু নয় মিত্রদের নীরবতাই ভাবায়। আমাদের কৃষকরা যখন কনকনে ঠান্ডায় রাস্তায় বসে থাকেন, আমরা অন্ধ হয়ে থাকতে পারিনা”। অভিনেতার দাবি, “চুপ করে থাকা মানে অত্যাচারীকেই  সাহায্য করা”। 

কৃষকদের আন্দোলন ছাড়াও এর আগে একাধিক বিষয়ে সরব হয়েছেন হিন্দি ছবির এই দিকপাল অভিনেতা। ২০০৮ সালে বুন্দেল শহরে গোরক্ষকদের হাতে পুলিশ অফিসারের খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে দেশের ক্রমশ বেড়ে চলা অসহিষ্ণুতা নিয়ে সোচ্চার হয়েছিলেন বছর ৭০ এর নাসিরুদ্দিন।                       

Comments are closed.