বেকারত্বের হারে সবাইকে টপকে গেল ফেব্রুয়ারি, ভোটের মুখে সিএমআইই-র রিপোর্টে কপালে ভাঁজ মোদী সরকারের

এ বছর জানুয়ারিতে রেকর্ড গড়ে বেকারত্ব পৌঁছেছিল ৭.১ শতাংশে। আশা করা গিয়েছিল, ফেব্রুয়ারিতে তা কমে আসবে বেশ কিছুটা। কিন্তু সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি (সিএমআইই)-র রিপোর্টে চোখ কপালে সরকারি কর্তাদের। বেকারত্ব কমা তো দূরের কথা বরং লাফিয়ে তা বেড়ে গিয়েছে বেশ খানিকটা। সিএমআইই-র রিপোর্ট অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে ভারতে বেকারত্ব ৭.২ শতাংশ। যা ভেঙে দিয়েছে আগের যাবতীয় রেকর্ড। গতবছর ফেব্রুয়ারিতে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৫.৯। ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে যে হার ছিল মাত্র ৫ শতাংশ। শতাংশের হিসেব ছেড়ে কেবল সংখ্যার হিসেবে দেখলে, গতবছর দেশের আনুমানিক ৪০.৬ কোটি মানুষের হাতে রোজগার ছিল এ বছর ফেব্রুয়ারিতে তা কমে হয়েছে আনুমানিক ৪০ কোটি।

সিএমআইই-র রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, নোটবন্দি ও জিএসটির ফলে দেশে অন্তত ১ কোটি ১০ লক্ষ মানুষের রোজগার বন্ধ হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই মনে করিয়ে দেওয়া যাক, মোদী সরকার গতমাসে সংসদে দাবি করেছিল, তাদের কাছে নোটবন্দির ফলে ছোট ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনও তথ্য নেই।

সিএমআইই-র এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে দেশজুড়ে ১০ হাজার মানুষের সঙ্গে কথা বলার ভিত্তিতে। এই রিপোর্টকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন দেশের বহু অর্থনীতিবিদ। এমনকি অনেকক্ষেত্রেই বেকারত্বের সরকারি রিপোর্টের থেকেও সিএমআইই-র রিপোর্টকে বেশি গুরুত্ব দেন অর্থনীতিবিদদের একাংশ।

শিয়রে লোকসভা ভোট। ফের ক্ষমতায় ফিরতে মোদী সরকার দেশজুড়ে অতি-জাতীয়তাবাদের ঝড় তুলতে চাইছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলের নেতাদের। এই প্রেক্ষিতে সিএমআইই-র রিপোর্ট মোদী সরকারের রাতের ঘুম কেড়ে নেবে বলেই অভিমত তাদের। বিরোধীদের আক্রমণ ও বেকারত্ব বৃদ্ধির রিপোর্ট, ভোটের মুখে এই জোড়া ফলা কীভাবে সামলান মোদী, সেটাই এখন দেখার।

Comments are closed.