কে তেলেঙ্গানার এই আইপিএস অফিসার, যিনি আগেও এনকাউন্টারে মেরেছেন ৩ জনকে?

তেলেঙ্গানায় পশু চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনে চার অভিযুক্তের এনকাউন্টারে মৃত্যু নিয়ে দ্বিধবিভক্ত সাংসদ থেকে নাগরিক সমাজ। কারও মতে, এমন ঘৃণ্য কাজে অভিযুক্তদের যোগ্য সাজা দিয়েছে পুলিশ। অপর পক্ষের মত, অপরাধীদের বিচার বিভাগীয় শাস্তিই হত সঠিক পদক্ষেপ। এদিকে চার অভিযুক্ত, মহম্মদ আলি ওরফে মহম্মদ আরিফ, জল্লু শিবা, জল্লু নবীন কুমার ও চিন্তাকুন্তা চেন্নাকেশাভুল্লুর এনকাউন্টারে মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে গিয়েছে সাইবরাবাদ পুলিশ কমিশনার ভি সি সাজ্জনারের প্রশস্তিতে। কে এই ভি সি সাজ্জানার?
২০০৮ সালের ডিসেম্বর। তেলেঙ্গানার ওয়ারঙ্গলে দুই ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর উপর অ্যাসিড হামলা করে তিন দুষ্কৃতী। প্রেমে বাধা পেয়েই এই অ্যাসিড আক্রমণ বলে সন্দেহ ছিল পুলিশের। এই তিন অভিযুক্তেরই পরে পুলিশি এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়। সে সময় ওয়ারঙ্গল জেলার পুলিশ সুপারিনটেন্ডেন্ট ছিলেন ভি সি সাজ্জনার। ঘটনাচক্রে তেলেঙ্গানার পশু চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডে যে সামসাবাদ থানায় অভিযোগ দায়ের হয়, সেই থানাটি পড়ছে সাইবারাবাদ পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে। যেখানকার পুলিশ কমিশনারের দায়িত্বে এখন এই ডাকাবুকো আইপিএস  অফিসার ভি সি সাজ্জনার।
ঘটনার পুনর্নির্মাণ করার জন্য শুক্রবার ভোররাতে চার অভিযুক্তকে জেল থেকে নিয়ে যাওয়া হয় তেলেঙ্গানার সাদনগরের ঘটনাস্থলে। সেখান থেকে অভিযুক্তরা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের এনকাউন্টার করা হয় বলে জানিয়েছেন সাইবরাবাদ পুলিশ কমিশনার ভি সি সাজ্জনার। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নেটিজেনদের একটি বড় অংশ এই আইপিএস অফিসারের প্রশস্তিতে নেমে পড়েছে।
কর্ণাটকের হুবলিতে জন্ম ভি সি সাজ্জনারের। হুবলির জে জি কলেজ অফ কমার্স থেকে বাণিজ্য বিভাগে স্নাতক হন সাজ্জনার। এরপর ধরওয়াড়ের ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ থেকে এমবিএ ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। বাবা সি বি সাজ্জনার ছিলেন ট্যাক্স কনসালটেন্ট এবং সমাজকর্মী। আইপিএস ভি সি সাজ্জনারের ভাই মল্লিকার্জুন সাজ্জনার পেশায় চিকিৎসক। ভি সি সাজ্জনার এনকাউন্টার স্পেশালিস্ট হিসেবে বিশেষ পরিচিত। বেশ কয়েকটি মাওবাদী এনকাউন্টার দলে গুরুত্বপূর্ণ অফিসার হিসেবে ছিলেন ভি সি সাজ্জনার।
পশু চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুনে চার অভিযুক্তকে এনকাউন্টারের ঘিরে দেশ জুড়ে বিতর্কের মধ্যে ‘জয় সাজ্জান্নার’ স্লোগানে কেবল নেটিজেনরা নয়, তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও-ও।

Comments are closed.