লকডাউনে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ওয়ার্ক ফ্রম হোমে কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কি? মাত্র ০.২ শতাংশ কর্মী পারছেন কাজ তুলতে, বলছে সমীক্ষা
অতিমারি করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউনে বন্দি দেশ। এই প্রেক্ষিতে তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র থেকে প্রায় সব প্রাইভেট সেক্টরে ওয়ার্ক ফ্রম হোম বা বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু কাজ এগোচ্ছে কি?
রিপোর্ট বলছে, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মরত ৯৯.৮ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে যে কাজ করছেন, তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। মাত্র ০.২ শতাংশ কর্মী ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ ব্যবস্থায় ভালো পারফর্ম করছেন। এমনই তথ্য দিল ডেটা অ্যানালিসিস সংস্থা SCIKEY MindMatch এর সমীক্ষা রিপোর্ট।
১০ এপ্রিল ইংরেজি দৈনিক দ্য ইকনমিক টাইমস SCIKEY MindMatch এর রিপোর্ট উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, তথ্যপ্রযুক্তি সেক্টরের এই ৯৯.৮ শতাংশ কর্মীরই বাড়ি থেকে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই। ৯৫ শতাংশ কর্মী এই পরিবেশে খাপ খাইয়ে নতুন করে শেখা বা বিশ্লেষণে অপারদর্শী।
৬৫ শতাংশের কার্যকরী কমিউনিকেশন স্কিলের অভাব রয়েছে এবং ৭১ শতাংশ তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর বাড়ি থেকে কাজের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা ও কার্যোদ্ধারের প্রশিক্ষণই নেই।
আইটি সেক্টরে কাজ করা ও কাজে আগ্রহী ১০ হাজার মানুষের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছে SCIKEY MindMatch। যেখানে বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের বিভিন্ন পর্যায়ে নিযুক্ত প্রতিটি কর্মীর দক্ষতা ও দুর্বলতা ভিন্ন। এই পরিস্থিতিতে প্রতিটি কোম্পানি কর্মীদের ব্যক্তিত্ব, দক্ষতা অনুযায়ী উৎপাদনে জোর দিচ্ছে।
সমীক্ষকদের মত, তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের মাত্র ১৬.৯৭ শতাংশ কর্মী যে কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম। তাঁরা যাতে আরও চ্যালেঞ্জিং কাজ করতে পারেন সেদিকে নজর দিতে হবে। তাহলে কিছুটা হলেও সচল থাকবে আইটি সেক্টর। সমীক্ষায় দাবি, তারা সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের ১৭ শতাংশ কর্মীকে চিহ্নিত করেছে, যাঁরা শুধুমাত্র নির্দেশ অনুযায়ী কাজ তুলে দিতে সক্ষম। তাই এঁদের বাড়ি থেকে অফিসের কাজ করাতে গেলে প্রয়োজন উপর মহলের মনোযোগ ও যে কাজের ভার দেওয়া হচ্ছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিষয়ের নজরদারি করা।
বলা হচ্ছে, গোটা তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের ৪০.৪২ শতাংশ কর্মীকে বাড়ি থেকে কাজ করাতে হলে তাঁদের তুচ্ছাতিতুচ্ছ প্রশ্ন, কৌতূহলের জবাব দিতে হবে উপর মহলের কর্মীদের। তবেই কাজ ভালোভাবে হবে।
সমীক্ষকদের মতে, বাড়ি থেকে কাজ আইটি কর্মীদের ক্ষেত্রে সহজ হতে পারে, যদি তাঁদের যে কোনও কাজের ভার দেওয়ার পর, সেই সম্বন্ধে যাবতীয় সংশয় বা প্রশ্ন দূর করা যায়। তাই কর্মীদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত ভিডিও কনফারেন্সিং এবং ফোনে যোগাযোগ রেখে চলতে হবে উপর মহলের।