লকডাউনে সুপারহিট ওয়ার্ক ফ্রম হোম, ৫ বছরের মধ্যে অফিসে বসে কাজ করবেন মাত্র ২৫%, টিসিএসের নয়া ভাবনা

করোনাভাইরাসের জেরে সারা বিশ্বে চলছে লকডাউন। এর জেরে অফিসের কাজ থেকে শুরু করে ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, সব কিছুই চলছে বাড়িতে বসে। এই অবস্থায় ওয়ার্ক ফ্রম হোম নিয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে অনেকটা এগিয়ে গেল টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিস বা টিসিএস।

আগামী পাঁচ বছরে কর্মীদের অফিসে বসে কাজের সময় কমিয়ে ২৫ শতাংশে নিয়ে আসার পরিকল্পনা করেছে এই সংস্থা। আগামীতে, অফিসের থেকে দূরে, বাড়িতে বসে কাজ করার উপরই জোর দিচ্ছে টিসিএস।

টিসিএসের চিফ অপারেটিং অফিসার এন গণপতি সুব্রহ্মণ্যম জানিয়েছেন, যে তাঁদের সংস্থা বিশ্বাস করে যে কাজের মান ১০০ শতাংশ রাখতে সব কর্মীদের অফিসে বসে কাজ করার প্রয়োজন নেই। অফিসে মাত্র ২৫ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকলেই যথেষ্ট। তিনি বলেন, কর্মীরা যদি কাজের সময়ের ২৫ শতাংশ অফিসে কাটান তাহলেই যথেষ্ট। বাকি সময়টা বাড়িতে বসেই তাঁরা কাজ করতে পারেন।

এই লকডাউনের জেরে, প্রায় ৮০ শতাংশ আইটি সেক্টর কর্মীই বাড়িতে বসে কাজ সামলাচ্ছেন। ক্লায়েন্টের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা থেকে শুরু করে কনফারেন্স কলের মাধ্যমে মিটিং, সবই চলছে বাড়িতে বসে। প্রথমে অল্প কয়েকদিনের জন্য এই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ চালু করলেও পরবর্তীতে বেড়ে চলা করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ও দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনের ফলে এখনও বাড়ি থেকেই কাজ করছেন কর্মীরা।

এই মুহূর্তে ভারতে টিসিএসের কর্মী সংখ্যা ৪,৪৮,৪৬৪ জন। এই পরিকল্পনা যদি আগামী পাঁচ বছরে সফল হয়, তাহলে তার উপর ভিত্তি করে আগামী দিনে তাঁদের পরিকাঠামো তৈরি করবে টিসিএস। দেশের সব বড় বড় আইটি কোম্পানিই বিভিন্ন বড় শহরে অফিস তৈরি করেছে। যেখানে কাজ করছেন লক্ষ লক্ষ কর্মী।

তবে এর মধ্যে অনেক ছোট আইটি কোম্পানিও রয়েছে, যাদের এই অফিস ঘর ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে অনেক টাকা গুনতে হয়। তাই এখন যদি বাড়ি থেকেই কাজের ব্যবস্থা হয়, সেই সমস্ত বাড়তি খরচ কমানো যাবে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের। কাজেই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ যে আমাদের কাজের পরিবেশে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনতে চলেছে তা বলাই যায়।

Comments are closed.