কষ্ট হবে, হয়ত মরেই যাবো তাও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হব না, হাই কোর্টকে জানালেন স্ট্যান স্বামী

চলতি সপ্তাহের শুরুতে স্ট্যান স্বামীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়

আমি কষ্ট পাব। হয়ত মরেই যাবো। কিন্তু মুম্বইয়ের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হব না। শুক্রবার ভীমা কোরেগাও-এলগার পরিষদ মামলার শুনানি চলাকালীন বম্বে হাইকোর্টকে এমনটাই জানালেন জেলে অসুস্থ সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামী।

মাওবাদী কার্যকলাপের অভিযোগে স্ট্যান স্বামীকে আট মাস আগে গ্রেফতার করে হয়েছিল। এরপর ৮৪ বছরের এই বৃদ্ধকে মুম্বইয়ের তালোজা জেলে রাখা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুম্বইয়ের জে জে হাসপাতাল ভর্তি করে জেল কর্তৃপক্ষ। এবং চলতি সপ্তাহের শুরুতে স্ট্যান স্বামীর শারীরিক পরীক্ষা করা হয়।

সেই রিপোর্ট হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে জমা দেওয়া হয়। সেখানে উল্লেখ ছিল, শ্রবণশক্তি হ্রাসের পাশাপাশি, কিছু কিছু সিরিয়াস শারীরিক সমস্যা দেখা গেছে।

ভার্চুয়াল শুনানি চলাকালীন বিচারপতি এস জে কাঠওয়ালা এবং এস পি তাভাদীকে নিয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চে স্বামীকে হাজির করা হয়েছিল। আদালতকে সমাজকর্মী স্ট্যান স্বামী বলেন, আট মাস জেলে থেকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। আট মাস আগে আমি একা হাঁটতে চলতে পারতাম। নিজে নিজে লিখতে পারতাম। কিন্তু তালোজা জেল আমাকে এমন পরিস্থিতিতে নিয়ে এসেছে যে এখন আমি লিখতে পারি না।

বেঞ্চ তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আগের দু’বার তাঁকে জেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি। স্বামী জানান, আমি কষ্ট পাব। হয়ত মরেও যাবো। কিন্তু আমি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হব না। আমাকে আমার বন্ধুদের কাছে রাঁচিতে ফিরিয়ে দিন।

স্ট্যান স্বামীর আইনজীবী তাঁর জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু উচ্চ আদালত তাঁর জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়। কেবল হাসপাতালে ভর্তির বিষয়ে অনুমতি দেয়।আদালত বলে, স্বামীর শারীরিক সমস্যা বার্ধক্যের কারণে। তাই আদালত স্বামীর আইনজীবী মিহির দেশাইকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে স্ট্যান স্বামীকে হাসপাতালে ভর্তির জন্য রাজি করাতে।

Comments are closed.