Yes Bank Latest News: ইয়েস ব্যাঙ্ক ডোবার দায় কার? বিপুল ঋণ অনিল আম্বানীর রিলায়েন্স ও সুভাষচন্দ্রের জি’র

 মেলেনি ধার দেওয়া বকেয়া ঋণের অর্থ। কয়েক হাজার কোটি টাকার বিপুল সেই বকেয়া ঋণের জেরে ইতিমধ্যেই ‘ইমারজেন্সি’তে চলে গিয়েছে ইয়েস ব্যাঙ্ক। প্রায় দেউলিয়া হওয়ার মুখে শিল্পপতি রানা কাপুরের হাতে গড়ে ওঠা এই ব্যাঙ্কটি। ব্যাঙ্কের টালমাটাল আর্থিক পরিস্থিতিতে গ্রাহকস্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে হাল ধরতে হয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রকে। সাময়িক পরিত্রাণের দিশা দেখাতে ব্যাঙ্কটির প্রায় ৪৯ শতাংশ শেয়ার কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্টেট ব্যাঙ্ক। বিপুল অনুৎপাদক সম্পদের (নন পারফর্মিং অ্যাসেট) দায়ে প্রায় নুয়ে পড়া ব্যাঙ্কটিতে ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে রাজি হয়েছে এসবিআই।
এতদুর মোটামুটি সকলের জানা। এর আগে এও জানা গিয়েছিল, অনিল আম্বানির রিলায়েন্স গোষ্ঠী, বিজেপি সাংসদ সুভাষ চন্দ্রের এস এল গ্রুপকে বিপুল অঙ্কের ঋণ দিয়েছিল ব্যাঙ্কটি। যা পরে আর ফেরত পায়নি তারা। এবার সামনে এল সেই সম্পর্কিত আরও তথ্য। জানা গিয়েছে, বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত শিল্পপতি অনিল আম্বানির সংস্থাকে প্রায় ১২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছিল ইয়েস ব্যাঙ্ক। বিজেপি সাংসদ সুভাষ চন্দ্রের এস এল গ্রুপ এই ব্যাঙ্ক থেকে নিয়েছিল প্রায় ৮ হাজার ৪০০ কোটি টাকার ঋণ। এ ছাড়াও দেওয়ান হাউসিং ফিন্যান্স কর্পোরেশনকে প্রায় ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ঋণ দেয় ইয়েস ব্যাঙ্ক। জেট এয়ারওয়েজকে দেওয়া হয়েছিল ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার ঋণ। এবং এই সব ক্ষেত্রে বকেয়া কোনও টাকাই ফিরে আসেনি ব্যাঙ্কটির ঘরে।
জানা গিয়েছে, মোট ৪৪টি সংস্থা, যার মধ্যে ১০ টি নামি সংস্থা রয়েছে, তাদের কাছে ইয়েস ব্যাঙ্কের বকেয়া ঋণের পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার কোটি টাকা! ইয়েস ব্যাঙ্ক-কাণ্ডে তদন্তে নেমে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডি এখনও পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছে সেখান থেকেই সামনে এসেছে এই তথ্য।

Comments are closed.