কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদে সম্ভবত বুধবার শপথ কুমারস্বামীর

সম্ভবত আগামী বুধবার কর্ণটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিতে চলেছেন জেডিএস নেতা এইচ ডি কুমারস্বামী। তার আগে কংগ্রেস-জেডিএস জোট সরকারের মন্ত্রিসভা কেমন হবে সে বিষয়ে আলোচনা করতে সোমবার দিল্লি যাচ্ছেন কুমারস্বামী। সেখানে রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর আলোচনা হবে বলে কুমারস্বামী জানিয়েছেন। একই সঙ্গে কমারস্বামী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দেবেন তিনি। শনিবার কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বি এস ইয়েদুরাপ্পা পদত্যাগ করার পরেই রাজ্যপালের কাছে গিয়ে সরকার গড়ার দাবি জানিয়ে এসেছিলেন কুমারস্বামী।

এদিকে, কর্ণাটকে নিজেদের মুখ পোড়ার পর মুখ খুলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তাঁর দাবি, সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণে ইয়েদুরাপ্পা যদি ১৫ দিনের সময় পেতেন তাহলে এই সরকারের পতন হত না। কারণ এই পনেরো দিনে বিরোধী কংগ্রেস-জেডিএস বিধায়করা নিজ নিজ কেন্দ্রে গিয়ে মানুষের সাথে কথা বলতেন। তখন তাঁরা বুঝতে পারতেন, মানুষ জোট সরকারের বদলে বিজেপি’র সরকারই চাইছে। ফলে অনেক বিরোধী বিধায়ক বিধানসভায় বিজেপি’কে সমর্থন করতে এগিয়ে আসতেন। তাঁর অভিযোগ, কংগ্রেস-জেডিএসের অনেক বিধায়ককে তাঁদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে দলীয় নেতৃত্ব জোর করে হোটেলে আটকে রেখেছিল। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস জানিয়েছে,বিজেপি যাতে তাদের বিধায়ক ভাঙাতে না পারে, সে কারণেই বিধায়কদের দূরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও অমিত শাহের দাবি, বিজেপি’র তরফে বিধায়ক কেনা-বেচার কোনও চেষ্টাই করা হয়নি। যদি তা হত, তবে ইয়েদুরাপ্পাকে পদত্যাগ করতে হত না।

রবিবার কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, কর্ণাটকে বিজেপির যে সকল নেতার বিরুদ্ধে ঘুষ দিতে চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন প্রধানমন্ত্রী। কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের মন্ত্রিসভায় কংগ্রেসের ভূমিকা কী হবে সে বিষয়ে হাই কম্যান্ড সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা মল্লিকা অর্জুন খর্গে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.