বাংলার বাইরে বড় সাফল্য ঘাসফুল শিবিরের, মেঘালয়ে এখন প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল 

রাতারাতি মেঘালয়ে প্রধান বিরধী দলের আসনে তৃণমূল। বুধবার রাতে কংগ্রেস থেকে ১২ জন বিধায়ক তৃণমূলে এসে যোগদান করেছেন। রাতেই মেঘালয় বিধানসভার স্পিকারের কাছে ১২ জন বিধায়ক চিঠি দিয়ে কংগ্রেস ত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার কথা জানান। যার ফলে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যে এখন  প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল। 

একুশের নির্বাচনে রাজ্যে ব্যাপক আসনে জয় পাওয়ার পরেই জাতীয় রাজনীতিতে নজর দেয় ঘাসফুল শিবির। দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই অভিষেক ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন, বিজেপির বিরুদ্ধে তাঁদের লড়াই শুধু বাংলা আটকে থাকবে না। আরও একাধিক রাজ্যে তৃণমূল সংগঠন গড়বে। ইতিমধ্যেই গোয়া এবং ত্রিপুরায় মাটি কামড়ে লড়াই করছে মমতা ব্যানার্জির দল। আর ত্রিপুরার পুরভোটের একদিন আগেই মেঘালয়ের প্রধান বিরধী শক্তি হিসেবে তৃণমূলের আত্মপ্রকাশ নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূণ। এমনটাই মনে করেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তাঁদের মতে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একমাত্র মেঘালয়েই ছিল কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি। বিধায়কদের দলত্যাগের জেরে কংগ্রেসের জায়গার দখল নিল তৃণমূল। 

সূত্রের খবর, ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর দিন দশেক ধরে মেঘালয়ে রয়েছেন।  সেখানে মুকুল সাংমার সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন পিকে। যদিও সাংমা আগে জানিয়েছিলেন, তিনি কংগ্রেস ছাড়বে না। 

উল্লেখ্য, তৃণমূলে যোগদানকারী ১২ জন বিধায়কের মধ্যে ৮ জন গারো পাহাড় অঞ্চলের এবং চার জন খাসি জয়ন্তিয়া পাহাড় অঞ্চলের। ১২ জন বিধায়ক দল ছাড়ার জেরে বর্তমানে মেঘালয়ে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা কমে দাঁড়াল ৫ জনে।   

Comments are closed.