এবার সংস্কার ভারতীয় রেলে: ৩ লক্ষ কর্মচারী হারাতে চলেছেন কাজ, রেল মন্ত্রকের নির্দেশিকা সবকটি জোনাল অফিসকে
এবার কি দেশের বৃহত্তম কর্মসংস্থানের জায়গা, ভারতীয় রেলের সংস্কারে হাত দিতে চলেছে দ্বিতীয় মোদী সরকার? এই মুহূর্তে ভারতীয় রেলে কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১৩ লক্ষ। সূত্রের খবর, আগামী এক বছরের মধ্যে সেই সংখ্যাকে ১০ লাখে নামানোর লক্ষ্য নিয়েছে রেল মন্ত্রক। অর্থাৎ, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে কাজ হারাতে পারেন ভারতীয় রেলের ৩ লক্ষ অফিসার এবং কর্মচারী।
আর এই কর্মী ছাঁটাইয়ের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে নামের তালিকা বানানোর কাজ। দেশের প্রায় প্রত্যেকটি কোণে ছড়িয়ে থাকা রেলওয়ে দফতরে আন্ডার পারফর্মার খুঁজে বের করাই এই তালিকা তৈরির উদ্দেশ্য বলে রেল মন্ত্রক সূত্রের খবর।
সম্প্রতি রেল মন্ত্রকের তরফে ইস্যু করা হয়েছে একটি গোপন নির্দেশিকা। তাতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের প্রথম তিন মাসের মধ্যে যে সমস্ত কর্মীর বয়স ৫৫ বছর হচ্ছে, অথবা যাঁদের কর্মজীবন ৩০ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে, এর মধ্যে যেটা আগে, তাঁদের নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করতে। কাজের উপযোগিতার নিরিখে সেই তালিকার মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হবে, কাদের স্বেচ্ছাবসর দেওয়া যায়, খবর রেল মন্ত্রক সূত্রে।
গত ২৭ শে জুলাই ভারতীয় রেলের সবকটি জোনকে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ৯ ই অগাস্টের মধ্যে জোনগুলোকে মুখবন্ধ খামে তালিকা পাঠাতে হবে রেল মন্ত্রকে।
রেল মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই প্রক্রিয়া রেলের নিয়মিত পর্যালোচনার অঙ্গ। এর মাধ্যমে যে সমস্ত কর্মীর কাজ সন্তোষজনক নয়, অথবা যে সমস্ত কর্মীর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আছে, তাঁদের স্বেচ্ছাবসরে বাধ্য করা হবে।
সম্প্রতি লোকসভায় সরকার জানায়, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে সারা দেশে ১.১৯ লক্ষ সরকারি গ্রুপ এ এবং গ্রুপ বি আধিকারিকের কাজ স্বেচ্ছাবসরের ধারায় পর্যালোচনা করা হয়েছে।
কর্মীদের তালিকা তৈরির ক্ষেত্রে জোনাল রেলওয়ে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই তালিকা তৈরির সময় যেন কর্মীদের মানসিক, শারীরিক পরিস্থিতি, উপস্থিতির হার এবং সময়ানুবর্তিতার দিকে নজরে রাখা হয়। পাশাপাশি কর্মীরা দফতরের খরচ কমানোর ক্ষেত্রে কতটা সচেতন, তাও তালিকা তৈরির সময় মাথায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেল মন্ত্রকের তরফে।