শক্তিকান্ত দাস: ৫ শতাংশ জিডিপি বিস্মিত করেছে

আগেই অর্থনৈতিক সঙ্কটের আভাস পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার যে ৫ শতাংশে ঠেকবে, তা তাঁকে বিস্মিত করেছে, মন্তব্য আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের।
এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার গত ৬ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। অটোমোবাইল থেকে বিস্কুট, দেশের শিল্পক্ষেত্রে চাহিদার অভাব, সোনার দাম বাড়ছে তাৎপর্যপূর্ণভাবে। তবু অর্থনৈতিক মন্দার কথা সরাসরি স্বীকার করেনি মোদী সরকার। বরং অর্থনৈতিক মন্দা নয়, অটোমোবাইল সেক্টরে ভয়ানক পরিস্থিতির জন্য ওলা, উবরের মতো অ্যাপ ক্যাবের নির্ভরতাকে দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
কিন্তু দেশের এই আর্থিক মন্দার পূর্বাভাস আগেই পাওয়া গিয়েছিল বলে স্বীকার করলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শক্তিকান্ত দাস বলেন, এপ্রিল-জুন ত্রৈমাসিকে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৫ শতাংশে ঠেকে যাওয়া তাঁকে বিস্মিত করেছে। আরবিআইয়ের গভর্নরের কথায়, প্রথম ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮ শতাংশ। তাঁদের আশা ছিল অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক অর্থাৎ এপ্রিল, মে এবং জুন, এই ৩ মাসে বৃদ্ধির হার কমে হতে পারে ৫.৫ শতাংশ। কিন্তু আর্থিক বৃদ্ধিতে ধস নেমে হার ৫ শতাংশে ঠেকায়, বিস্মিত তিনি। এরপরেই শক্তিকান্ত দাসের স্বীকারোক্তি, দেশের অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন। বলেন, মন্দার জন্যই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানো হয়। কিন্তু মিলল না পূর্বাভাস। বৃদ্ধি পৌঁছল তলানিতে। যা দেখে নিজেই চমকে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন আরবিআই গভর্নর।
কেন্দ্র যেখানে মন্দার কথা সরাসরি মানতে নারাজ, সেখানে আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের স্বীকারোক্তি মোদী সরকারের অস্বস্তি বাড়ালো বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।

Comments are closed.