রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীদের থানায় তুলে আনা হচ্ছে; ত্রিপুরা নিয়ে ফের ট্যুইটে সরব কুণাল ঘোষ

ফের একবার ত্রিপুরার বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন কুণাল ঘোষ। সেই সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনকেও পুনরায় নিশানা করলেন।

ত্রিপুরার আমবাসায় রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি থেকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কাউকে কাউকে থানায় ডেকেও পাঠানো হচ্ছে। মঙ্গলবার ট্যুইটারে এমনটাই অভিযোগ করলেন তৃণমূলের রাজ্য কমিটির সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, রাজ্যে তান্ডব চালাচ্ছে শাসক দল বিজেপি। এমনটাই দাবি কুণাল ঘোষের।

শনিবার দুপুরের পর থেকে ত্রিপুরায় তৃণমূল বনাম বিজেপির যে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে তা যেন থামতেই চাইছে না।

সোমবার তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি গেরুয়া শিবিরকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে বলেছিলেন, গোটা ত্রিপুরা জুড়ে দানবীয় শাসন চালাচ্ছে বিজেপি। সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করে দলনেত্রীর সুরেই বিপ্লব দেবের সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছিলেন কুণাল। আর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের ত্রিপুরা নিয়ে ট্যুইটারে সরব কুণাল।

সোমবারের মতো এদিনও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন কুণাল। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় একের পর এক তৃণমূল কর্মীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এখন মানবাধিকার কমিশন কোথায়?

উল্লেখ্য বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে হাইকোর্টে একটি দীর্ঘ রিপোর্ট জমা দেয় কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করেছে NHRC . সেই সঙ্গে রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা মন্ত্রীকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে রিপোর্টে উল্লেখ্য করা হয়।

কমিশনের রিপোর্টকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে অভিযোগ করে তৃণমূল। কমিশনের কয়েকজন কর্তা বিজেপি ঘনিষ্ঠ বলেও তথ্য প্রমাণ দিয়ে অভিযোগ করে ঘাসফুল শিবির।

আর এই প্রেক্ষিতেই তৃণমূলের মুখপাত্র দাবি করেন, বাংলায় মতো ত্রিপুরাতেও কেন মানবাধিকার কমিশন তদন্ত শুরু করবে না।

Comments are closed.