সরকার ও শিল্পপতিদের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ, যোগীকে পাশে বসিয়ে বললেন শিল্পপতি অজয় পিরামল

মোদী সরকার এবং শিল্পপতিদের মধ্যে অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা সরকারের তরফে আশাব্যঞ্জক কোনও সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছেন না। তাঁরা হতাশ। শুক্রবার ঠিক এই ভাষাতেই মোদী সরকারকে বিঁধলেন শিল্পপতি অজয় পিরামল।
শুক্রবার মুম্বইয়ে ওয়ার্ল্ড হিন্দু ইকোনমিক ফোরামের অনুষ্ঠান থেকে ভারতের বর্তমান শিল্প পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করেন পিরামল গ্রুপের চেয়ারম্যান অজয় পিরামল। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করির ওই অনুষ্ঠানে আসার কথা থাকলেও তাঁরা অনুপস্থিত ছিলেন। তবে হাজির ছিলেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাঁর উপস্থিতিতেই দেশের শিল্পপতিদের উদ্বেগ জানালেন অজয় পিরামল।

তিনি বলেন, বর্তমানে একটি শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে। যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁদের সঙ্গে দেশের সম্পদ তৈরি করতে সাহায্যকারীদের মধ্যে একটি অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। দেশের বিভিন্ন শিল্পপতিদের বাসভবন বা অফিসে হানা দেওয়া, বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাধ্যমে তাঁদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করার প্রেক্ষিতে সরকার ও শিল্পপতিদের মধ্যে এই দূরত্ব তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অজয় পিরামল বলেন, কোনও শিল্পপতি বেআইনি কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কিনা তা জানার বিভিন্ন উপায় আছে। ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ি কিংবা অফিসে তল্লাশি চালানো মোটেও যুক্তিযুক্ত নয়।
‘বুস্টিং দ্য ইকোনমি অফ ভারত’ শীর্ষক ওই আলোচনাসভা থেকে পিরামল গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, দেশের সম্পদ সৃষ্টিকারীদের উপযুক্ত সম্মান দেওয়া উচিত। অজয় পিরামলের প্রশ্ন, কারও সম্পর্কে একটা অভিযোগ উঠলেই, তাঁকে অপরাধী হিসাবে কেন দেগে দেওয়া হয়? অভিযোগ তো প্রমাণ সাপেক্ষ। তাঁর কথায়, বর্তমানে যে কোনও তথ্যই খুব সহজে পাওয়া যায়। তারপরেও শিল্পপতিদের বাড়িতে হানা দেওয়া, তাঁদের বিরুদ্ধে লুক-আউট নোটিস জারি করা কী খুব প্রয়োজনীয়? প্রশ্ন অজয় পিরামলের। এতে সরকার সম্পর্কে কোনও শিল্পদ্যোগীই সদর্থক বার্তা পান না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কিছুদিন আগেই ম্যাঙ্গালোরে আত্মঘাতী হন ‘ক্যাফে কফি ডে’র কর্ণধার ভি জি সিদ্ধার্থ। সুইসাইড নোটে আয়কর বিভাগের ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি। মাস কয়েক আগে জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গয়াল ও তাঁর স্ত্রীর বিদেশ সফর আটকে দেওয়া হয়। বিমানবন্দরে যাওয়ার পর তাঁরা জানতে পারেন, তাঁদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে মোদী সরকারকে বিঁধলেন টাটা সনস লিমিটেডের নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অজয় পিরামল।

Comments are closed.