অবশেষে ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলেন অক্ষয় কুমার

তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে বিতর্ক বহু দিনের। অনেকেই অভিযোগ করেন, ভারতে থেকে কানাডার পাসপোর্ট ব্যবহার করেন বলিউডের এই অভিনেতা, তিনি নাকি সেখানকার নাগরিকত্ব পেয়েছেন।
বিতর্ক নয়া মোড় নেয় চলতি বছর লোকসভা ভোটের সময়। গত ২৯ এপ্রিল মুম্বইয়ে লোকসভা নির্বাচনের ভোট পর্ব অনুষ্ঠিত হলেও ভোটারদের লাইনে দেখা যায়নি খিলাড়ি কুমারকে। অথচ তার কয়েকদিন আগেই ভোটপর্ব চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন অক্ষয়। ঘটনায় সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন নেটিজেনরা। প্রশ্ন উঠেছিল, প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন, স্বচ্ছ ভারতের পক্ষে প্রচার করছেন, এয়ারলিফট, প্যাডম্যান, গোল্ডের মতো দেশের গল্প নিয়ে ছবি করছেন, অথচ তিনি ভোট দিচ্ছেন না। তখনই জানা যায়, ভারতে ভোট দেওয়ার কোনও অধিকারই নেই অক্ষয়ের। কারণ, তিনি কানাডার পাসপোর্টধারী।
এবার এই বিষয়টি নিয়ে সর্বভারতীয় এক সংবাদপত্রের সম্মেলনে মুখ খুললেন অক্ষয় কুমার। তিনি জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ভারতীয় পাসপোর্টের জন্য তিনি আবেদন করেছেন। পাশাপাশি ঠিক কী কারণে তাঁকে কানাডার পাসপোর্ট নিতে হয়েছে সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন অক্ষয়। বলেছেন, বেশ কিছু বছর আগে যখন তার পরপরই ছবি বক্স অফিসে ফ্লপ হয় তখন এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর পরামর্শে তিনি কানাডার নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানান। অক্ষয়ের দাবি, তাঁর সেই বন্ধু সেখানেই থাকেন এবং কানাডায় গিয়ে তাকে কাজের বুদ্ধিও দেন সেই বন্ধু। অক্ষয় বলেছেন, ‘আমি ভেবেছিলাম আমার কেরিয়ার এখানে শেষ, তাই আমি কানাডায় গিয়ে সেখানে থাকার প্রস্তুতি নিতে শুরু করি, সেখানকার পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানাই এবং পেয়েও যাই’। অক্ষয় জানিয়েছেন, কিন্তু এরপর থেকেই এদেশের তাঁর কেরিয়ারের মোড় ঘুরে যায় এবং তারপর থেকে তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। কিন্তু এখন এদেশের পাসপোর্টের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।
পাশাপাশি সমালোচনার মুখে এদেশের প্রতি নিজের দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিতে অক্ষয় আরও বলেছেন, যেভাবে তাঁকে এই কারণে বিভিন্ন তির্যক মন্তব্য শুনতে হয়েছে, যেভাবে নিজের নাগরিকত্বের প্রমাণ এবং তার ভারতীয় হওয়ার প্রমাণ তাঁর থেকে চাওয়া হয়েছে সেই বিষয়টি তাঁকে এখনও আঘাত করে। তাঁর স্ত্রী, ছেলে এবং পরিবারের সদস্যরা সকলেই ভারতীয় বলে মনে করিয়ে দিয়েছেন অভিনেতা। প্রতি বছর যে তিনি এদেশে বিপুল আয়কর দেন সে সাফাইও দিয়েছেন অভিনেতা।

 

Comments are closed.