হিন্দিকে জাতীয় ভাষা করার প্রস্তাব অমিত শাহর, বিরোধিতায় বিভিন্ন আঞ্চলিক দল

দেশের সমস্ত স্কুলে হিন্দি বাধ্যতামূলক করতে হবে, গত জুন মাসে কেন্দ্রীয় সরকারের এই সুপারিশে তীব্র বিতর্ক দানা বেঁধেছিল। যদিও এরপর পিছু হঠে কেন্দ্র জানায়, জোর করে কোনও রাজ্যের ওপর শিক্ষানীতি চাপিয়ে দেওয়া হবে না। এই নীতি কার্যকর করার আগে আলোচনা করবে সরকার। এর মধ্যেই শনিবার হিন্দি দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ট্যুইট যোগ করল নতুন মাত্রা।
শনিবার এক ট্যুইটে হিন্দিকে ভারতের জাতীয় ভাষা করার প্রস্তাব রাখেন অমিত শাহ। ট্যুইটে তিনি লেখেন, ভারতের বিশ্বব্যাপী পরিচিতির জন্যে একটি অভিন্ন ভাষার প্রয়োজন, আর সেটি হতে পারে একমাত্র হিন্দি। অমিত শাহ লেখেন, দেশের সর্বাধিক কথিত ভাষা হল হিন্দি। এই ভাষাই দেশের মানুষের মধ্যে একতা তৈরির ক্ষমতা রাখে। ভারতকে বহু ভাষা-ভাষীর দেশ এবং প্রতিটি ভাষারই নিজস্ব গুরুত্বের কথা স্বীকার করেও হিন্দিকে দেশের জাতীয় ভাষা হিসাবে ঘোষণা করার প্রস্তাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

ভারতের গণপরিষদ হিন্দিকে ভারতের সরকারি ভাষা হিসাবে গ্রহণ করার পর প্রতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর দিনটি হিন্দি ভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই ট্যুইট করার পরই তা নিয়ে ফের তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে। হিন্দি ভাষাকে কোনওভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন। প্রতিবাদ শুরু হয়েছে অন্য কিছু মহল থেকেও।
কেন্দ্রের নতুন শিক্ষা নীতিতে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হিন্দি ভাষা বাধ্যতামূলক করার কথা ঘোষণার পরে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছিল। বিশেষত দক্ষিণের রাজ্যগুলি থেকে তীব্র প্রতিবাদ আসে। হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ার প্রয়াসের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গও সরব হয়। বিরোধিতায় করেন বিদ্বজ্জনেরা। যদিও সেই বিতর্কের সময় এ রাজ্যের বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি এবং বর্তমানে মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায় তা নিয়ে এক ট্যুইট করেন এবং সেখানে লেখেন, বাঙলার মেয়েরা অন্য রাজ্যে ডান্স বার করছেন, অথচ হিন্দি ভাষার ক্ষেত্রে আপত্তি কেন? তথাগত রায়ের এই ট্যুইট নিয়ে সেই সময় সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন অনেকেই।
শনিবার হিন্দি ভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ট্যুইটের পরও ফের তৈরি হল নতুন বিতর্ক।

Comments are closed.