কর্পোরেট ছেড়ে হাত ধরেছেন অভিষেক ব্যানার্জি! বলছেন, সুজিত-সব্যসাচীর প্যাকেজিং ভাল, প্রোডাক্ট আমার

অভিষেক: শিক্ষিত তরুণরা রাজনীতিতে আসে না আমি এই আক্ষেপ নিয়ে বাঁচব না

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ফরেন ট্রেড থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে স্নাতকোত্তর। সর্বভারতীয় পরীক্ষায় তৃতীয়। তারপর বহুজাতিক কগনিজেন্টের মোটা বেতনের চাকরি। ভালই চলছিল জীবন। সেই ছেলেটিই ভোটের বাজারে রাতারাতি লোভনীয় চাকরি ছেড়ে নেমে পড়লেন ভোটের ময়দানে। তিনি বিধানগরের কংগ্রেস প্রার্থী অভিষেক ব্যানার্জি।
উলটোদিকে দুই হেভিওয়েট। বিজেপির সব্যসাচী দত্ত। ঘাসফুল চিহ্নে ভোটে লড়ছেন গতবারের বিধায়ক সুজিত বসু।
কেন্দ্রের নাম বিধানগর হলেও গত লোকসভা ভোটে বারাসাত কেন্দ্রে কংগ্রেসের ভোট ছিল ২%। শতাংশের হিসেবে তৃণমূল প্রার্থী পেয়েছিলেন ৪৬% এবং বিজেপি প্রার্থী ৩৮%।
কংগ্রেসের এরকম ‘দুর্দিনে’ চাকরি ছেড়ে ভোট ময়দানে কেন, জানতে চাওয়ায় অভিষেকের উত্তর, এটাই সঠিক সময় ময়দানে নামার। শিক্ষিত তরুণরা রাজনীতিতে আসে না আমি এই আক্ষেপ নিয়ে বাঁচব না।

প্রতিপক্ষ দু’জনই হেভিওয়েট, জেতার আশা করেন? কর্পোরেটের ঝাঁ চকচকে জীবন ছেড়ে ভোটে নামা অভিষেক ব্যানার্জি বলছেন, আমি জয়ের ব্যাপারে ১০০% নয় ২০০% আত্মবিশ্বাসী। বাকিরা বিপণনে এগিয়ে, প্যাকেজিংও দারুন, কিন্তু আমার প্রোডাক্টই সেরা। মানুষ আগে প্রোডাক্ট দেখে তারপর বাকিগুলো, উত্তর আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের কৃতী ছাত্র অভিষেকের। কিন্তু তাও তো বাকিরা ভোটের শতাংশে কংগ্রেসের থেকে কয়েকগুন এগিয়ে। বিরোধীদের তীব্র কটাক্ষ করে অভিষেকের জবাব, ৪৬%, ৩৮% এর মহিমা মানুষ হারে হারে টের পাচ্ছেন। এবার ভাল প্রোডাক্ট বাজারে এসে গেছে। মানুষ সবসময় ভালর দিকে যাবেন। তাই জয় নিশ্চিত।
বিজেপি, তৃণমূলকে একযোগে বিঁধে অভিষেকের টিপ্পনি, আলাদা দুটো দল হলেও এদের রাজনৈতিক ডিএনএ এক। এই পরিস্থিতিতে মানুষ বিকল্প হিসেবে তৃতীয় কোনও ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে চাইছে। এই জায়গাই আমাকে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে, বলেন বিধাননগরের কংগ্রেস প্রার্থী।
রাজনীতিতে আরেক হেভিওয়েট অভিষেক ব্যানার্জি রয়েছেন, আইডেন্টিটি ক্রাইসিস হয় না? কংগ্রেসের অভিষেক বলছেন, না হয় না। সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি একজন গুরুত্বহীন উত্তরাধিকারী। দু’বারের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও তিনি একজনের ভাইপো হয়েই রয়ে গেলেন। আমি কংগ্রেসের প্রার্থী। বিধাননগর আমার জন্মভূমি, কর্মভূমি।

[আরও পড়ুন- ‘মানুষের সঙ্গে আমার আত্মার যোগ’ বাঁকুড়ার রোড শোতে মহাগুরুকে দেখতে মানুষের ঢল]

হেয়ার স্কুল থেকে পড়াশোনা, তারপর WBUT থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে স্নাকোত্তর পড়াশোনা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ে। আর পাঁচটা বাঙালির মতোই তরুণ কংগ্রেস প্রার্থী অবসরে ভালোবাসেন বই পড়তে, রান্না করতে, আড্ডা মারতে। পছন্দের পোশাক ধুতি পাঞ্জাবি। বললেন, একজন মধ্যবিত্ত ভেতো বাঙালির যা যা পছন্দ আমারও ঠিক তাই।
ভোটের ময়দানে প্রথম হলেও পেশাদার রাজনীতিকের মত কংগ্রেসের প্রার্থীর মুখে স্লোগান, মানুষ বলছে আর নয় আক্ষেপ, বিধাননগরে এবার অভিষেক।

Comments are closed.