বিএসএনএল-এমটিএনএলে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প চালু, ৭০-৮০ হাজার কর্মী কমানোর ভাবনা কেন্দ্রের

ধুঁকতে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত দুই টেলিকম সংস্থা বিএসএনএল এবং এমটিএনএল’কে বাঁচাতে ইতিমধ্যেই সংস্থা দুটির সংযুক্তিকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। এবং এর জন্য প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। সংস্থা দুটিকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে এবং খরচ কমাতে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প আনার কথাও ঘোষণা করেছিল কেন্দ্র। সেই ঘোষণার সূত্র ধরেই এবার সামনে এল বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প।
বিএসএনএল যে স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে এনেছে তাতে বলা হয়েছে, ৪ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ভিআরএস প্রকল্পের জন্য আবেদন জানাতে পারবেন সংস্থার স্থায়ী কর্মীরা। বিএসএনএল কর্তৃপক্ষ মনে করছে, তাঁদের দেড় লক্ষ কর্মীর মধ্যে ৭০ থেকে ৮০ হাজার কর্মী এই স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প গ্রহণ করতে পারেন। এই প্রকল্পের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, স্থায়ী বিএসএনএল কর্মী এবং ডেপুটেশনের ভিত্তিতে অন্য সংস্থায় কাজ করা কর্মীদের জন্য এই প্রকল্প প্রযোজ্য হবে। যাঁদের বয়স ৫০ অথবা তার বেশি, তাঁরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন। এর ফলে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিএসএনএলের চেয়ারম্যান পিকে পুরওয়ার সম্প্রতি জানিয়েছেন, নভেম্বরের ৪ তারিখ থেকে ডিসেম্বরের ৩ তারিখের মধ্যে এই স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন বিএসএনএলের স্থায়ী কর্মীরা। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে সমস্ত ইউনিটকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। বিএসএনএল চেয়ারম্যানের আরও দাবি, সরকারের তরফে দেওয়া এটা অন্যতম সেরা স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প এবং সংস্থার কর্মীদের উচিত প্রকল্পটির বিষয়ে ভেবে দেখা।
জানা গিয়েছে এই স্বেচ্ছাবসর প্রকল্পে বলা হয়েছে, স্বেচ্ছা অবসর নেওয়া কর্মীদের যত বছর চাকরি আছে তত বছরে ৩৫ দিনের এক্সগ্রেসিয়া এবং ২৫ দিনের বেতন যোগ করে ঠিক করা হয়েছে এই প্রকল্পের আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ।
বিএসএনএলের পাশাপাশি অপর একটি রাষ্ট্রীয় টেলিকম সংস্থা এমটিএনএলও স্বেচ্ছাবসর প্রকল্প এনেছে। আগামী ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারবেন সেখানকার কর্মীরাও।
এছাড়াও কেন্দ্রের পরিকল্পনা, আগামী তিন বছরে বাজারে বিএসএনএল এবং এমটিএনএলের অব্যবহৃত সম্পত্তি ও বন্ড বেচে প্রায় ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা তোলা হবে। ২০১০ সাল থেকেই লোকসানে চলছে বিএসএনএল এবং গত ৯ বছর ধরে লাভের মুখ দেখেনি এমটিএনএল। প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার দেনা রয়েছে এই দুই সংস্থার।

 

Comments are closed.