লাদাখ সীমান্তে ৬০ হাজার চিনা সৈন্য! এই যুদ্ধে আমেরিকাকে পাশে দরকার ভারতের, বললেন ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও

লাদাখ সীমান্তে ৬০ হাজার সৈন্য সমাবেশ করেছে চিন। এই পরিস্থিতিতে ভারতের প্রয়োজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সহযোগী হিসেবে পাশে পাওয়া। টোকিওতে কোয়াড বৈঠক সেরে দেশে ফেরার পথে এ কথাই জানালেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও।

অতিমারির পর এই প্রথম মঙ্গলবার জাপানের টোকিওতে বৈঠকে বসেছিল কোয়াড দেশসমূহ। আমেরিকা ছাড়াও তাতে ছিলেন জাপান, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতের বিদেশমন্ত্রীরা। বৈঠকে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে বলে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে খবর। সেখানেই চিন নিয়ে এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পম্পেও। পাশাপাশি চিনকে রুখতে ভারতের মার্কিন সহায়তা প্রয়োজন এবং যথা সময়ে সহযোগিতা করতে যে ট্রাম্প সরকার প্রস্তুত, তাও এক প্রকার জানিয়ে দিয়েছেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট।

আমেরিকা ফেরার আগে টোকিওতে বসে মোট ৩ টি ইন্টারভিউ দিয়েছেন পম্পেও। তার প্রতিটিতেই তিনি চিনের বিপদ সম্বন্ধে কথা বলেছেন। পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন, স্রোত উল্টোদিকে বওয়ার খেলাও শুরু হয়ে গিয়েছে।

একটি ইন্টারভিউতে পম্পেও বলেন, ইন্ডিয়া, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপানের মতো সুগঠিত ও বিরাট গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি বড়ো বিপদ হয়ে উঠেছে। কীরকম বিপদ, তাও জানিয়েছেন পম্পেও। তাঁর কথায়, ভারতীয়রা এই বিপদের কথা এখন পদে পদে টের পাচ্ছেন। ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকে হিমালয়ে বিবাদিত জমিতে প্রচুর সৈন্য মোতায়েন করছে চিন।

মাইক পম্পেও বলেন, কোয়াড দেশসমূহ একসঙ্গে মিলে একটি যৌথ প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করতে চায়। যাতে এই দেশগুলো মিলে চিনের কমিউনিস্ট পার্টির বিপদকে মোকাবিলা করতে পারে। তারপরেই তিনি বলেন, এই যুদ্ধে আমেরিকাকে সহযোগী এবং বন্ধু হিসেবে ভারতের অবশ্যই দরকার।

ফক্স নিউজকে দেওয়া ইন্টারভিউতে ইউএস সেক্রেটারি অফ স্টেট বলেন, ভারতের বিরুদ্ধে চিন লাদাখ সীমান্তে ৬০ হাজার সৈন্য মোতায়েন করেছে। কারণ ভারত চিনের আগ্রাসী আধিপত্যবাদে দেওয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে পম্পেও উদাহরণ টানেন অস্ট্রেলিয়ারও। তিনি বলেন, উহান ভাইরাস নিয়ে চিনের কাছে অস্ট্রেলিয়া তদন্তের দাবি জানিয়েছিল। তদন্ত হয়নি এমনকী এর জন্য সে দেশে বসবাসকারী অস্ট্রেলিয়দের চিনের কমিউনিস্ট পার্টির হাতে হেয় পর্যন্ত হতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের দরকার বিশ্বস্ত বন্ধুর। যাঁরা যে কোনও বিপদে পাশে দাঁড়াতে কুণ্ঠা বোধ করবে না, বলেন ট্রাম্পের সহযোগী।

গত ৫ মাস ধরে পূর্ব লাদাখে ভারত-চিন সমস্যা চলছে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকেও সমাধানসূত্র মেলেনি। এই পরিস্থিতিতে চিনকে মোকাবিলায় ভারতের পাশে থাকার স্পষ্ট ইঙ্গিত করলেন আমেরিকার সেক্রেটারি অফ স্টেট। যা এই পরিস্থিতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

Comments are closed.