চুক্তিভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা এবার রাজ্য সরকারের অধীনে, পুজোর আগে বড়ো ঘোষণা মমতার

পুজোর মুখে রাজ্যের চুক্তিভিত্তিক আইটি কর্মীদের ‘পুজো উপহার’ দিলেন মুখ্য মন্ত্রী। আর কোনও এজেন্সি নয়, রাজ্য সরকারি দফতরে কর্মরত সমস্ত চুক্তিভিত্তিক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী এবার থেকে আসছেন সরাসরি রাজ্য সরকারের অধীনে। পুজোর মুখে বড়ো ঘোষণা মমতা ব্যানার্জির।

রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিসে বহু চুক্তিভিত্তিক আইটি কর্মী রয়েছেন। এতদিন ওয়েবেল, ডব্লুটিএল সহ একাধিক এজেন্সির সঙ্গে তাঁরা চুক্তিবদ্ধ ছিলেন। শুক্রবার ট্যুইটারে মুখ্য মন্ত্রীর ঘোষণা, এখন থেকে সরাসরি রাজ্য সরকারের অধীনে চুক্তিভিত্তিক কর্মী হিসেবে কাজ করবেন এই আইটি কর্মীরা।

তাঁদের জন্য আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন মমতা। জানিয়েছেন, এই সব আইটি কর্মীরা ৬০ বছর পর্যন্ত কাজ করতে পারবেন এবং অবসরের সময় পাবেন এককালীন ৩ লক্ষ টাকা। এছাড়া সরকারের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনা হবে সমস্ত চুক্তিভিত্তিক আইটি কর্মীকে। বছরে মোট ৩০ দিন ছুটি ও ১০ দিনের মেডিক্যাল লিভ পাবেন তাঁরা। তার সঙ্গে মহিলা কর্মীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি তো রয়েছেই।

অর্থাৎ, রাজ্য সরকার সরাসরি নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের যে সুবিধা দেয়, বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত হওয়া চুক্তিভিত্তিক আইটি কর্মীদেরও এবার থেকে একই সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে।

সরকারি সূত্রে খবর, রাজ্যের বিভিন্ন দফতর ও সংস্থায় এই ধরনের চুক্তিভিত্তিক আইটি কর্মীর সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। ডব্লুটিএল এবং ওয়েবেলের মাধ্যমে এতদিন তাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে। এই কর্মীদের বেতনের টাকা এতদিন ওই নিয়োগকারী সংস্থাকেই দিত রাজ্য সরকার। কিন্তু এব্যাপারে দীর্ঘদিন ধরে সরকারের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছে। অনিয়ম বন্ধের জন্য কয়েকটি নির্দেশিকাও জারি করে অর্থ দফতর। তাতে বলে দেওয়া হয়, সংস্থাগুলি বেতনের টাকা থেকে প্রশাসনিক খরচ বাবদ ৪ শতাংশ ও কমিশন খাতের এক শতাংশ মিলিয়ে মোট ৫ শতাংশ অর্থ কাটতে পারবে। কিন্তু তারপরও প্রদত্ত বেতন থেকে ৫ শতাংশের বেশি টাকা কাটা হচ্ছে বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করে আসছেন আইটি কর্মীরা। এ ব্যাপারে সরকারকে চিঠিও দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সরকারি কর্মীদের সংগঠনগুলি।

Comments are closed.