কোভিড নিয়ন্ত্রণে আসবে ফেব্রুয়ারিতে, মার্চে মিলবে ভ্যাকসিন, জানাল কেন্দ্র

আর মাত্র কয়েকটা মাস। তারপর অতিমারি করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। পাওয়া যাবে ভ্যাকসিনও। এমনই দাবি করল কেন্দ্র।

দেশের করোনা পরিস্থিতি কবে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ আসতে পারে, সম্প্রতি তার সম্ভাব্য সময় জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি। তাদের আশ্বাস, করোনা সংক্রমণের শিখরকে পিছনে ফেলে এসেছে ভারত। ফলে এরপর দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

দেশের বেশ কয়েকটি আইআইটি ও ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) এর সদস্যদের নিয়ে গঠিত হয় এই কেন্দ্রীয় কমিটি। একটি গাণিতিক মডেল বিশ্লেষণ করে তাঁরা জানিয়েছেন, সমস্ত বিধিনিষেধ মেনে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে অতিমারিকে নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। তখন সক্রিয় করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা হবে খুব সামান্য। বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা প্রায় ৭৫ লক্ষ। কেন্দ্রীয় কমিটি জানাচ্ছে, ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা হতে পারে ১ কোটি ৫ লক্ষ। তবে সঠিক নিয়ম মেনে, জমায়েত এড়িয়ে চলার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। উৎসবের মরসুমে দেশজুড়ে যদি কোভিড সংক্রান্ত  নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা ভাঙাতে শুরু করে তাহলে পরিস্থিতি কী হবে তা অজানা। সেদিকে নজর রেখে কেন্দ্রীয় কমিটির সতর্কবাণী, উৎসবের মরসুমে নিয়ম ভাঙলে প্রতি মাসে মোটামুটি ২৬ লক্ষ ভারতীয় করোনা সংক্রমিত হতে পারেন।

এদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন জানিয়েছেন আগামী বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকেই একাধিক সংস্থা থেকে মিলতে পারে করোনা ভ্যাকসিন। একই পূর্বভাস দিলেন পুণের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (SII) ‘র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ডঃ সুরেশ যাদব। তিনি জানান, চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ৬-৭ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ প্রস্তুত হয়ে যাবে। কিন্তু লাইসেন্স পেয়ে সেগুলি বাজারে আসতে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত সময় লাগবে। ভ্যাকসিন তৈরিতে একাধিক উৎপাদনকারী সংস্থা জোরকদমে কাজ চালাচ্ছে। তাই আগামী মার্চ মাসেই ভারতীয়দের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে যাবে বলে আশাবাদী তিনি। ডঃ যাদব যোগ করেন, সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে বছরে ৭০০-৮০০ মিলিয়ন ভ্যাকসিন ডোজ উৎপাদনের ক্ষমতা রাখবে সিরাম ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়া।

 

Comments are closed.