যোগীর জনসভায় আখলাখ খুনে অভিযুক্তরা, হাততালি দিয়ে স্বাগত জানালেন আদিত্যনাথের বক্তৃতার

২০১৫ সালে দাদরি হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্তদের দেখা গেল যোগী আদিত্যনাথের নির্বাচনী সভায়!  আগামী ১১ এপ্রিল শুরু হচ্ছে লোকসভা নির্বাচন। দলীয় প্রার্থীদের জেতাতে বিজেপির ‘স্টার ক্যাম্পেনার’ তথা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জোর কদমে শুরু করেছেন নির্বাচনী প্রচার। রবিবার গ্রেটার নয়ডার বিসাদা গ্রামে এমনই এক নির্বাচনী জনসভায় হাজির হয়েছিলেন যোগী। আর সেই সভাতেই  একেবারে সামনের আসন আলো করে বসে থাকতে দেখা গেল, মহম্মদ আখলাখকে পিটিয়ে খুনের ঘটনার ৪ প্রধান অভিযুক্তকে। শুধু তাই নয়, রীতিমতো হাততালি দিয়ে উৎসাহ যোগাতেও দেখা গেল তাদের।

২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে উত্তর প্রদেশের আলিগড় জেলার দাদরিতে মহম্মদ আখলাখের ফ্রিজে গো মাংস মজুত করা আছে, এই অভিযোগে তাঁর উপর চড়াও হয় গো রক্ষকরা। মারধরে মৃত্যু হয় বছর পঞ্চান্নর আখলাখের। দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রেহাই পাননি আখলাখের ছেলে দানিশ। শুধু তাই নয়, আখলাখের পরিবারকে পরে গ্রাম ছাড়তেও বাধ্য করা হয়। ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বিশাল রানা সহ চারজনকে গ্রেফতার করা হলেও, এখন তারা জামিনে মুক্ত। আর রবিবার তাদেরই হাজির থাকতে দেখা গেল গেরুয়া শিবিরের জনসভায়।
বক্তৃতায় যোগী আদিত্যনাথের মুখেও এদিন ফিরে এসেছে ‘গো হত্যা প্রসঙ্গ’। রবিবার ওই সভা থেকে যোগী বলেন, বিজেপি সরকার উত্তর প্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর সমস্ত বেআইনি কসাইখানা বন্ধ করা দেওয়া হয়েছে। বিসারা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মহেশ শর্মার সমর্থনে নির্বাচনী প্রচার করতে এসে যোগীর অভিযোগ, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি ও মায়াবতীর বহুজন সমাজ পার্টি জাতিভেদ আর তোষণের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। যোগীর আরও দাবি, বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর, পূর্ব উত্তর প্রদেশে জাতি দাঙ্গা কমেছে। তোষণ নয়, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে সমাজের সব শ্রেণির মানুষের উন্নতিই বিজেপি সরকারের একমাত্র লক্ষ্য বলে ঘোষণা উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য শুনে দাদরি কাণ্ডে অভিযুক্তদের হাততালি দিতেও দেখা যায়। স্বভাবতই দাদরি কাণ্ডের মুখ্য অভিযুক্তরা কেন বিজেপির সভায়, তা নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি গো বলয়ে কট্টর হিন্দুত্বের পোস্টার বয় যোগী আদিত্যনাথ।

Comments are closed.