Delhi Violence: সন্ধ্যা পর্যন্ত হিংসায় মৃত্যু বেড়ে ২৩, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে, দাবি অজিত দোভালের

বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দিল্লিতে হিংসায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩। আর উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শনের পর সন্ধ্যাতেই মৌজপুরে দাঁড়িয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল দাবি করলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিন বিধানসভায় অভিযোগ করেন, দিল্লির হিংসার মূলে রয়েছে বহিরাগত ষড়যন্ত্র। দিল্লির সাধারণ মানুষ এই হিংসায় অংশ নেয়নি, মদতও দেয়নি। বহিরাগত এবং কিছু রাজনৈতিক নেতাই এই হিংসার পরিস্থিতির জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেন কেজরি। এই হিংসার জন্য কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ও দিল্লি সরকারের সমালোচনা করে কংগ্রেস, শিবসেন-সহ বিরোধী দলগুলি। এদিকে অনুরাগ ঠাকুর, পরবেশ ভার্মা, কপিল মিশ্রের মতো বিজেপির নেতা-মন্ত্রীরা লাগাতার উস্কানিমূলক মন্তব্য করার পরেও কেন তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়নি, এ নিয়ে দিল্লি পুলিশকে ভর্ৎসনা করে দিল্লি হাইকোর্ট। কীসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন, আর কত মৃত্যু দেখতে হবে, দিল্লি পুড়ে খাক হয়ে গেলে আপনাদের ঘুম ভাঙবে? এমনই কড়া ভাষায় দিল্লি পুলিশের সমালোচনা করে দিল্লি হাইকোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লি হিংসায় মৃত পুলিশ কনস্টেবল রতন লালের পরিবারকে ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন।
কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এদিন কেন্দ্র ও দিল্লি সরকার দুয়েরই সমালোচনা করেন। তিনি দিল্লির ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শান্তি মিছিল করতে চান। পুলিশ বাধা দিলে প্রিয়াঙ্কা দলবল নিয়ে রাস্তায় বসে পড়েন। অন্যদিকে শিবসেনার মন্তব্য, দিল্লির হিংসার ঘটনা ১৯৮৪ সালের দাঙ্গার কথা মনে করাল। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ২০০২ সালের গোধরা হিংসার তুলনা টেনে মোদী-শাহকে কটাক্ষ করেছেন।

Comments are closed.