ফের বিতর্কে মোদীর বায়োপিক, বিধিভঙ্গের অভিযোগে কমিশনের নোটিস প্রযোজনা সংস্থাকে

নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ উঠল বিবেক ওবেরয় অভিনীত ‘প্রাইম মিনিস্টার নরেন্দ্র মোদী’ ছবিটির বিরুদ্ধে। ২০ শে মার্চ পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার কে মহেশ স্বতঃপ্রণোদিত নোটিস পাঠিয়েছেন ছবিটির প্রযোজনা সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মিউজিক কোম্পানিকে। পাশাপাশি ছবির বিজ্ঞাপন ছাপার অভিযোগে দুটি সংবাদপত্রকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রের খবর।

প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর নির্মিত বায়োপিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন বিবেক ওবেরয়। ছবিটির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পরই নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা। এবার একই সন্দেহ প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশনও। এই প্রেক্ষিতেই পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার প্রযোজক সংস্থাকে নোটিস পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। প্রযোজক সংস্থার তরফে এখনও কোনও জবাব মেলেনি। ৩০ শে মার্চের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ৫ ই এপ্রিল। আগামী দিনে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক ছবির মুক্তি নিয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরির কথাও বিবেচনা করছে নির্বাচন কমিশন বলে জানিয়েছেন কে মহেশ।

সম্প্রতি ৪৭ জন আমলা নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে নির্বাচনের ঠিক মুখে মোদীর বায়োপিক মুক্তি পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। দেশের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনারকে উদ্দেশ্য করে লেখা চিঠিতে আমলাদের আবেদন, ‘ভোটের মুখে এই ছবির মুক্তি, প্রধানমন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলকে কতটা নির্বাচনী সুবিধে করে দেবে তা আপনি আন্দাজ করতে পারছেন নিশ্চয়ই। এই প্রেক্ষিতে আমাদের আবেদন, ছবিটির মুক্তি ২৩ শে মে পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হোক।‘

মঙ্গলবার একই কথার প্রতিধ্বনি শোনা গিয়েছিল রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। নবান্নে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন ছবি মুক্তির দিন নিয়ে। মমতা বলেছিলেন, ‘কেউ নিজের প্রচার করার উদ্দেশে ছবি বানাতে চাইলে আপত্তির কোনও কারণ নেই। কিন্তু ঠিক ভোটের মুখে তা করা হলে উদ্দেশ্য বুঝতে অসুবিধা হয় না।‘ রাজনীতির লড়াই রাজনীতি দিয়েই জেতার চেষ্টা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি কংগ্রেস, সিপিএম এবং সিপিআই মোদীর বায়োপিকের মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। তাদের দাবি, লোকসভা ভোটের শেষ দফা অর্থাৎ ১৯ শে মে পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হোক ছবির মুক্তি।

মোদীর বায়োপিক নিয়ে বিতর্ক অবশ্য নতুন কিছু নয়। কিছুদিন আগেই ছবির ব্যানারে অনুমতি না নিয়ে নাম ব্যবহার করায় ট্যুইটারে প্রযোজনা সংস্থাকে কটাক্ষ করেছিলেন গীতিকার জাভেদ আখতার এবং সমীর। এবার তাতে জুড়ল নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ।

Comments are closed.