দেশে প্রথম ইলেকট্রিক সুপার-বাইক বাজারে আসছে ২০২০ সালে, দাম প্রায় ৬ লক্ষ টাকা

২০২০ সালের মধ্যে বাজারে আসতে চলেছে ভারতের প্রথম ইলেকট্রিক সুপার-বাইক এমফ্লাক্স ওয়ান। ইলেকট্রিক সুপার-বাইকটির দাম পড়বে মোটামুটি ৬ লক্ষ টাকা।
বেঙ্গালরুর ইভি স্টার্ট-আপ সংস্থা এমফ্লাক্স ২০১৮ সালেই বাইক বাজারে সাড়া জাগিয়ে ঘোষণা করেছিল, ভারতে প্রথম ইলেকট্রিক সুপার-বাইক আনতে চলেছে তারা। সেই ঘোষণা মাফিক তৈরি হচ্ছে এমফ্লাক্স ওয়ান, ভারতের প্রথম ইলেকট্রিক সুপার-বাইক। ২০২০ সালের মধ্যে ভারতীয় বাজার কাঁপাতে তৈরি হচ্ছে এই ইলেকট্রনিক সুপার-বাইক। ঘন্টায় ২০০ কিলোমিটার গতি সম্পন্ন সুপার-বাইকটিতে নজরকাড়া ডিজাইন এবং অসাধারণ সব বৈশিষ্ট্যের জন্য ইতিমধ্যেই বাইকারদের প্রথম পছন্দের তালিকায় ঢুকে পড়েছে এমফ্লেক্স ওয়ান। ৭১ এইচপি/৮৪ এনএম, লিকুইড-কুলড ইনডাকশন মোটর বিশিষ্ট এই সুপার বাইকের ওজন ১৬৯ কেজি। ৯.৭ কিলোওয়াট ব্যাটারি প্যাকে ৩৬ মিনিটের মধ্যে ৮০ শতাংশ দ্রুত চার্জের সুবিধা রয়েছে এই বাইকে। শুধুই এলইডি আলো ব্যবহার করা হচ্ছে বাইকটিতে। আপাতত বিখ্যাত বাইকারদের দিয়ে টেস্ট ড্রাইভ করাচ্ছে এমফ্লাক্স মোটরর্স।
ইচ্ছা থাকলেও বিনিয়োগের অভাবে ২০১৯ সালের মধ্যে ইলেকট্রিক সুপার-বাইকটি তারা বাজারে আনতে পারছে না বলে জানিয়েছে এমফ্লাক্স কর্তৃপক্ষ। তবে ২০২০ সালের শেষের দিকে দেশের বাজার মাতাতে এই সুপার-বাইক নেমে পড়বে বলে আশাবাদী সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকরা।
যদিও ব্র্যান্ড ইমেজের কথা মাথায় রেখে, প্রথমে খুব অল্প পরিমাণে এমফ্লাক্স ওয়ান সুপার বাইক বাজারে আনা হবে। সে জায়গায় একটু কম ক্ষমতাসম্পন্ন এবং কম মূল্যের এমফ্লাক্স মডেল টু আনা বেশি সংখ্যায় বাজারে আনার কথা ভাবছে বেঙ্গালরুর সংস্থাটি।
সুপার-বাইকটির চার্জার, মোটর, মোটর কন্ট্রোলার, ব্যাটারি প্যাক, ইভিএসই, বিএমএস-সহ নানা সার্কিট তৈরি হচ্ছে বেঙ্গালুরুতেই। তবে সুপার-বাইকের সাসপেনসন, টায়ার এবং টুকটাক যন্ত্রপাতি বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। ইলেকট্রিক বাইকটিতে কোনওরকম প্রযুক্তিগত ত্রুটি রাখতে নারাজ সংস্থা। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় বাজেটে ইলেকট্রনিক্স যানবাহনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ায় বাজারে এই বাইকের জনপ্রিয়তা পেতে আরও সুবিধা হবে বলেই মনে করছে এমফ্লাক্স মোটর। দেশের বাইক বাজারে ‘গেম চেঞ্জার’ হতে পারে এমফ্লাক্স ওয়ান, এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Comments are closed.