প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার ফেসবুক কর্মীদের! এবার জুকেরবার্ককে চিঠি রবিশঙ্কর প্রসাদের

ভারতে ব্যবসা ধরে রাখতে শাসকদল বিজেপির পক্ষপাতিত্ব করার অভিযোগ উঠেছে ফেসবুকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, শশী থারুর, তৃণমূল নেতা ডেরেক ওব্রায়েন প্রমুখদের তোপের মুখে পড়েছে বিজেপি থেকে ফেসবুক। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতে ফেসবুকের নীতি রূপায়ণের দায়িত্বে থাকা আঁখি দাসের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের হয়েছে চণ্ডীগড়ে। যদিও ফেসবুকের তরফে ‘স্বচ্ছতার’ পক্ষেই সওয়াল করা হয়েছে। কিন্তু এবার ফেসবুকের বিরুদ্ধেই তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রবিশঙ্কর প্রসাদ। ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্ককে চিঠি লিখে তাঁর অভিযোগ, ‘ফেসবুকের কিছু পদস্থ কর্মচারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আপত্তিকর শব্দ ব্যবহার করেন।’

ফেসবুকের বিরুদ্ধে বিরোধীর মতোই তিনিও প্রায় একই অভিযোগ এনেছেন। তাঁর দাবি, ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে দক্ষিণপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী অনেক ফেসবুক পেজ ডিলিট করে দেওয়া হয়। অথবা সেই ফেসবুক ব্যবহারকারীদের প্রাসঙ্গিকতা লঘু করে দেওয়ার চেষ্টা হয়। এমনকী এ নিয়ে ফেসবুকের কাছে অভিযোগ করে কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি। জুকেরবার্ককে দেওয়া চিঠিতে তিনি লিখেছেন, প্রতিটি দেশের জন্য ফেসবুকের আলাদা আলাদা নির্দেশিকা থাকা উচিত এবং কর্মীদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করা উচিত। তিনি আরও লেখেন, মানুষের রায়ে যাঁরা ভোটে হেরেছেন, তারাই ফেসবুককে ব্যবহার করে ভারতীয় গণতন্ত্রকে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করছেন। এমনকী ফেসবুকের কিছু কর্মীও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে অপশব্দ ব্যবহার করেছেন বলে চিঠিতে অভিযোগ তাঁর।

এদিকে ফেসবুককে নিয়ে এই বিতর্কের বিষয়ে সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে সরব হয়েছে তৃণমূল। দলের তরফে ওই কমিটির দুই সদস্য, সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং নাদিমূল হককে বৈঠকে যোগ দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত বছর জুনে প্রথমবার রাজ্যসভার অধিবেশনে ফেসবুক-বিজেপি সম্পর্ক নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। গত সোমবার সেই ভিডিও ট্যুইট করে মোদী সরকারকে একহাত নেন তৃণমূল সাংসদ কাকলী ঘোষ দস্তিদার।

এ দেশে ফেসবুকের পক্ষপাতমূলক কার্যকলাপ নিয়ে আমেরিকার ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল-এ কিছুদিন আগে একটি খবর প্রকাশিত হয়। সেই রিপোর্ট নিয়ে ভারতীয় রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তৈরি হয়েছে। এছাড়া টাইম ম্যাগাজিন এর একটি প্রতিবেদনেও একই দাবি করা হয়েছে ফেসবুক অধীকৃত হোয়াটসঅ্যাপ নিয়ে। এ বিষয়ে ফেসবুক কর্তা মার্ক জুকেরবার্ককে চিঠি পাঠিয়েছিল কংগ্রেস। এবার প্রায় একই অভিযোগ এনে জুকেরবার্গকে চিঠি দিলেন দেশের আইনমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা।

Comments are closed.