দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হারে বিশ্বে চতুর্থ স্থানে ভারত, সামনে আমেরিকা, ব্রাজিল ও রাশিয়া

করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যায় ইরানকে সরিয়ে বিশ্বে দশম স্থানে উঠে এসেছিল ভারত। দিনটি ছিল ২৫ মে। আর তার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধির হারে বিশ্বে চার নম্বরে উঠে এল ভারত। মঙ্গলবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তালিকা অনুযায়ী, ভারত এখন আমেরিকা, ব্রাজিল, রাশিয়ার পরেই, চতুর্থ স্থানে।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তালিকা বলছে, দেশে কোভিড ১৯ এ মৃত্যু হয়েছে ৪,১৬৭ জনের। মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৪৫,৩৮০। সোমবার সকাল ৮ টা থেকে ভারতে ১৪৬ জন করোনা সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনা সংক্রমিত রোগী পাওয়া গিয়েছে ৬,৫৩৫ জন।

কেন্দ্রের তালিকা বলছে, অ্যাক্টিভ কোভিড ১৯ কেসের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮০,৭২২। অন্যদিকে ৬০,৪৯০ জন সুস্থ হয়েছেন।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ৪১.৬১% রোগী সুস্থ হয়েছেন। যদিও কেন্দ্রের তরফে গ্লোবাল রিকভারি রেট বা বিশ্বে সুস্থ হওয়ার হারও যে একই কিংবা সামান্য ভালো, তা উল্লেখ করা হয়নি। ২৫ মে গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমিতদের সুস্থ হওয়ার হার ছিল ৪১.৮৪%।

সোমবার সকাল থেকে যে ১৪৬ জন রোগীর মৃত্যুর কথা বলা হচ্ছে তার মধ্যে ৬০ জন মহারাষ্ট্রের, ৩০ জন গুজরাতের, ১৫ জন রাজধানী দিল্লির, ১০ জন মধ্যপ্রদেশে, ৭ জন তামিলনাড়ুতে, ৬ জন পশ্চিমবঙ্গে, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানে ৪ জন করে, তেলেঙ্গানায় ৩ জন, হিমাচলপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর এবং কর্ণাটকে ২ জন করে এবং কেরলে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ভারতে এখনও পর্যন্ত যে ৪,১৬৭ জন করোনা সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে সবার উপরে মহারাষ্ট্র। সেখানে মোট ১,৬৯৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেই রয়েছে মোদী-অমিত শাহের রাজ্য গুজরাত। সেখানে ৮৮৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে কেন্দ্রীয় তালিকায়। মধ্যপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের, পশ্চিমবঙ্গে ২৭৮ জন, দিল্লিতে ২৭৬ জন, রাজস্থানে ১৬৭ জন, উত্তরপ্রদেশে ১৬৫ জন, তামিলনাড়ুতে ১১৮ জন এবং তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশে ৫৬ জন করে করোনা সংক্রমিতের মৃত্যু হয়েছে। কর্ণাটকে মৃত্যু হয়েছে ৪৪ জনের এবং পাঞ্জাবে এখনও পর্যন্ত ৪০ জন করোনা সংক্রমিত প্রাণ হারিয়েছেন।

মঙ্গলবার প্রকাশিত কেন্দ্রীয় সরকারি তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, ৭০ শতাংশেরও বেশি করোনা সংক্রমিত রোগীর মৃত্যু হয়েছে কো-মর্বিডিটি বা অন্যান্য অসুস্থতা জনিত কারণে।

Comments are closed.