দেশের টেলিকম বাজার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে দুঃস্বপ্ন, বললেন প্রাক্তন ভোডাফোন কর্তা

বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ভারতীয় টেলিকম বাজার দুঃস্বপ্নের মতো বলে মন্তব্য করলেন ভোডাফোন ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও মার্টেন পিটারস।
সুপ্রিম কোর্ট আগামী তিন মাসের মধ্যে কেন্দ্রকে লাইসেন্স ফি, স্পেক্ট্রাম চার্জ বাবদ ৩৯ হাজার কোটি টাকা বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে ভোডাফোনকে। যা নিয়ে ভারতীয় বাজারে ভোডাফোনের ব্যবসা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে ইংরেজি দৈনিক ‘দ্য ইকনমিক টাইমস’ কে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ভোডাফোন ইন্ডিয়ার প্রাক্তন সিইও মার্টেন পিটারস। মুকেশ আম্বানীর রিলায়েন্স জিও-কে একহাত নিয়ে মার্টেন পিটারস বলেন, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের সামনে নানা বাধা ছাড়াও জিও-র প্রবেশ ভারতীয় টেলিকম সেক্টরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। বেশিরভাগ বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ভারতীয় টেলিকম সেক্টরে বিনিয়োগ দুঃস্বপ্নের মতো। যে কোনও বিদেশি বিনিয়োগকারীর কাছে ভারতীয় টেলিকম বাজারের নেতিবাচক দিকটিই বড় হয়ে দেখা দেয়।
এদিকে ভোডাফোন, এয়ারটেল সহ টেলিকম সংস্থাগুলিকে যে ৯২ হাজার কোটি টাকা বকেয়া মেটানোর নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত, এই প্রসঙ্গে টেলিকম কমিশনের প্রাক্তন সদস্য আর অশোক বলেন, সুপ্রিম কোর্টের কাছে আবেদনকারী হিসেবে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এই রায় মিলেছে। কিন্তু তারপরেও টেলিকম সংস্থাগুলিকে কর ছাড় দিলে তা সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী হবে এবং টেলিকম সেক্টরের পক্ষেও অমঙ্গলজনক হবে। যদিও মার্টেন পিটারসের মত, প্রায় ৭ লক্ষ কোটি টাকা দেনার দায়ে এখনই ধুঁকছে ভারতীয় টেলিকম সেক্টর।
প্রসঙ্গত, লোকসানে চলা ভোডাফোন আইডিয়াকে তিন মাসের মধ্যে ৩৯ হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া মেটাতে হবে। ভোডাফোনের প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারটেলকেও কেন্দ্রকে দিতে হবে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা। দুই সংস্থাই কেন্দ্রের কাছে ঋণ মুকুব ও জরিমানার অর্থ কমানোর আবেদন জানিয়েছে। কিছুদিন আগে কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে ওই দুই সংস্থার আর্জি খারিজ করার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল মুকেশ আম্বানীর জিও কর্তৃপক্ষ।

Comments are closed.