২০২৫ সালের সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় আইএএস-বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন টিনা ডাবি। দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন আতহার খান।তখন অবশ্য ভাবা যায়নি যে বিবাহ সম্পর্কে বাঁধা পড়বেন এই দুজন। কিন্তু তাই হলো।খুব তাড়াতাড়িই বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়ে গেলেন এই দুই প্রথম স্থানাধিকারি। শুধু তাই নয়, দেশ জুড়ে চলতে থাকা জাতি বিদ্বেষের মধ্যে তাদের দুজনের এই সিদ্ধান্ত একটা নতুন উদাহরণ স্থাপন করবেন বলেও ভেবেছিলেন অনেকে। টিনা হলেন দলিত সমাজের প্রতিনিধি এবং আতহার হলে কাশ্মীরের পহেলগ্রামের বাসিন্দা।তাদের বিয়েকে খোদ রাহুল গান্ধী সম্প্রীতির নজির বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন।
বিয়ের সময়ের পড়ে সম্প্রতি আবারও খবরের হেডলাইনে তারা দুজন। এবার কারণ, বিবাহ বিচ্ছেদ। জানা যাচ্ছে, জয়পুরের পারিবারিক আদালতে মিউচুয়াল বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জমা করেছেন এই দম্পতি। ২০১৫ সালে দুজনেই রাজস্থান ক্যাডারে আইএএস হয়েছিলেন। জানা যায়, মুসৌরিরর লালবাহাদুর শাস্ত্রী ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি ফর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন-এ প্রথম দুজন দুজনকে চিনেছিলেন তারা, তারপর প্রেম এবং বিয়ে।কিন্তু এবার বিবাহ বিচ্ছেদের খবর সামনে আসায় ফের উঠছে নানান মন্তব্য।
টিনার বাড়ি ভোপালে হলেও দিল্লির লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হন তিনি।তারপরই আইএএস-এর প্রস্তুতি শুরু। অন্যদিকে কাশ্মীরের বাসিন্দা আতাহার হিমাচল প্রদেশের মান্ডি আইআইটি থেকে বিটেক ডিগ্রি নিয়েই স্বপ্নপূরণের প্রস্তুতি শুরু করেন। মিসৌরিতেই আলাপের পর প্রেমপর্ব শুরু হয়েছিল তাদের।জয়পুরে অতি সাধারণ কোর্ট ম্যারিজ হওয়ার পর জয়পুর, পাহেলগ্রাম এবং দিল্লিতে রিসেপশন হয়েছিল দম্পতির। ভেঙ্কাইয়া নাইডু, সুমিত্রা মহাজন, রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন অতিথি হিসেবে। সেই সময় দুজনেরই পোষ্টিং ছিল জয়পুরে।কিন্তু তারপর শ্রীগঙ্গানগরে জেলা পরিষদের সিইও হয়ে বদলি হয়ে যায় টিনার এবং আতহার জয়পুর জেলা পরিষদের সিইও-র পদে বহাল থাকে। এমন অবস্থাতেই তাদের ডিভোর্স ফাইল করার কথা প্রকাশ্যে আসে।এই ঘটনার জেরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের মন্তব্যের মুখে পড়তে হচ্ছে দম্পতিকে।