করোনা কাটলেই শুরু প্রক্রিয়া! বাংলায় CAA র পক্ষে সওয়াল বিজেপি সভাপতি নাড্ডার, বিরোধিতা তৃণমূলের

করোনা ও লকডাউনের আবহে সিএএ ইস্যু কিছুটা চাপা পড়েছিল। তবে সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েই ফের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে মন্তব্য করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। জানালেন, করোনার প্রভাব কমলেই সিএএ (CAA) কার্যকর হবে।

আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। ভোট যুদ্ধে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকেই যে বিজেপি অন্যতম হাতিয়ার করতে চলেছে তা সোমবার পরিষ্কার বুঝিয়ে দিলেন নাড্ডা।

এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন তো আগেই পাশ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু তা কার্যকর করলেই হল। তাঁর কথায়, ‘সিএএ-র জন্য আইনের বিধিও তৈরি করা হচ্ছিল। কিন্তু করোনার কারণে সেই কাজে ব্যাঘাত ঘটেছে। এই মহামারির প্রভাব কমলেই বিধি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। আরও আপনারাও খুব তাড়াতাড়ি এর সুবিধা পাবেন।’

পাশাপাশি রাজ্যের সমস্ত সাংসদকে বাংলার কী কী সমস্যা রয়েছে তার তালিকা তৈরির নির্দেশ দেন তিনি। তাঁর প্রতিশ্রুতি, মোদী সরকার বঙ্গবাসীর চাহিদা ও অভাব দূর করবে।

নাড্ডার এই ঘোষণার প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেনি রাজ্যের শাসক দল। কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সিএএ কার্যকর করতে চাইলে তাঁরাও যে বসে থাকবেন না, তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নাড্ডার এই ঘোষণার পরেই সোমবার রাতে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদের ট্যুইট, কাগজ দেখানোর আগেই বিজেপিকে দরজা দেখিয়ে দেবে বঙ্গবাসী। ট্যুইটারে মহুয়া লেখেন, ‘নাড্ডা বলেছেন বাংলায় শীঘ্রই সিএএ কার্যকর হবে। শুনে রাখো বিজেপি, আমাদের কাগজ দেখানোর অনেক আগেই তোমাদের দরজা দেখিয়ে দেব।’

বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল সাংসদও যে এই ট্যুইট বার্তায় ২০২১’এর বিধানসভা ভোটকেই ইঙ্গিত করেছেন, তা স্পষ্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

 

Comments are closed.