পুলিশি হামলা নিয়ে আদালতে যাবে জামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়

জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশের হামলার পর কেটে গিয়েছে একমাস। এখনও দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা হয়নি। জেএনইউ-তে দুষ্কৃতী তাণ্ডব হয়েছে প্রায় দশদিন আগে। আজও ওই ঘটনাইয় জড়িত সন্দেহে কাউকে পুলিশ গ্রেফতার তো দূরের কথা, আটকও করতে পারেনি। দুই বিশ্ববিদ্যালয়েরই পড়ুয়ারা এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন। এই অবস্থায় পড়য়াদের চাপে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজিকিউটিভ কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বরের ওই ঘটনার জন্য তারা আদালতে গিয়ে বলবে, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর গ্রহণ করতে যেন পুলিশকেই নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই ঘটনার পর থেকেই জামিয়ার পড়ুয়ারা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁরা জোর করে ঢুকে উপাচার্যকে ঘেরাও করে রাখেন। পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে, পরীক্ষা স্থগিত রাখার দাবি জানানো হয়। বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেমেস্টার পরীক্ষা স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করে। জামিয়ার গেটে এখনও প্রতিবাদী আন্দোলন চলছে। তাতে রোজ ভিড় বাড়ছে। অনেক সাধারণ মানুষ আসছে বিক্ষোভে সামিল হতে। বুধবার পঞ্জাব থেকে কয়েকশো কৃষক আসেন সেই বিক্ষোভস্থলে। পরে তাঁরা সেখান থেকে শাহিনবাগে যান। এদিন জেএনইউ-র ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ জামিয়ার বিক্ষোভে গিয়ে ভাষণ দেন। তিনি বলেন, জেএনইউ-তে হামলার পর দশদিন অতিক্রান্ত। এখনও পুলিশ কাউকে ধরতে পারল না। অথচ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করেছে। আমরা চাই, দোষীরা দ্রুত গ্রেফতার হোক। তিনি জানান, বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবিতে তাঁদের আন্দোলন যেমন চলছিল, তেমনই চলবে।

Comments are closed.