লোকসভা ভোটে বিহার থেকে বিজেপি বিরোধী জোটের প্রার্থী হতে পারেন কানহাইয়া কুমার

২০১৯ লোকসভা ভোটে বিহারের বেগুসরাই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হতে পারেন সিপিআই’এর যুব নেতা কানহাইয়া কুমার। জানা গেছে, দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই ছাত্র নেতার প্রার্থী পদের ব্যাপারে সম্মতি আছে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদ যাদবেরও। সূত্রের খবর, ৩১ বছরের কানহাইয়া কুমারকে বেগুসরাই থেকে প্রার্থী করতে চায় তাঁর দল সিপিআই। দল চায় কানহাইয়াকে ওই নির্বাচনে সমর্থন করুক মহাজোট। অর্থাৎ, বিরোধী মহাজোটের সর্বসম্মত প্রার্থী হোন কানহাইয়া কুমার। আর এবিষয়ে বিভিন্ন বাম দল ছাড়াও সদর্থক সাড়া পাওয়া গেছে আরজেডি সুপ্রিমো লালুপ্রসাদের কাছ থেকে। মনে করা হচ্ছে বিহারে মহাজোটের অন্যান্য দল, কংগ্রেস, এনসিপি ও জিতেন রাম মাঝির এইচএমএস(এস) ও এই প্রস্তাবে রাজি হবে।
কানহাইয়া কুমার বর্তমানে ১২৫ জন সদস্য বিশিষ্ট সিপিআই’এর ন্যাশনাল কমিটির সদস্য। সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক সত্য নারায়ণ সিংহ সংবাদসংস্থাকে জানিয়েছেন, এর আগে যখন তাঁদের সঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের কথা হয়, তিনি কানহাইয়া কুমারের জন্য বেগুসরাই সিট ছাড়তে রাজি হয়েছিলেন। সিপিআই আসন্ন ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিহারে ৬টি আসনে প্রার্থী দিতে চায়। যদিও এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বিরোধী জোটের সঙ্গে আলোচনার পরই ঠিক হবে।
কানহাইয়া কুমারের বাড়িও বিহারের বেগুসরাইতে। তাঁর মা একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং বাবা কৃষক। কানহাইয়া জানিয়েছেন, তাঁর লোকসভা ভোটে প্রার্থী হতে আপত্তি নেই। কিন্তু দল ও বিরোধী জোটের অন্যান্য নেতৃত্বকে তাঁর নাম প্রস্তাব করতে হবে। ২০১৬ সালের গোড়ায় দিল্লির জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে আফজল গুরুর ফাঁসির বিরোধিতা করে দেশ বিরোধী স্লোগান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল কানহাইয়া কুমারের বিরুদ্ধে। যদিও তা এখনও প্রমাণিত হয়নি। পরে আদলত তাঁকে মুক্তি দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে।

Comments are closed.