‘এ কেমন পিটিশন’? ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতায় দাখিল হওয়া মামলা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ সুপ্রিম কোর্টের

এ কেমন পিটিশন? আধ ঘন্টা ধরে হলফনামা পড়ার চেষ্টা করেও তিনি এর মর্মার্থ উদ্ধার করতে পারেননি, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের রাষ্ট্রপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দায়ের হওয়া পিটিশন প্রসঙ্গে এমনই মন্তব্য করলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। মামলাকারী আইনজীবী এম এল শর্মাকেও তিরস্কারও করেন প্রধান বিচারপতি। জানালেন, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতায় জারি হওয়া সব পিটিশনের কোনও মানে নেই।
জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের রাষ্ট্রপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে গত ৬ ই অগাস্ট সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী ও সমাজকর্মী এম এল শর্মা।
শুক্রবার এই মামলার শুনানিতে মামলাকারী আইনজীবী এম এল শর্মাকে কার্যত তিরস্কার করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। তাঁর অভিযোগ, তিনি আধ ঘন্টা ধরে চেষ্টা করেও হলফনামা পড়তে পারেননি। এরপর সংশ্লিষ্ট হলফনামা বাতিল করতে চেয়েও মামলার গুরুত্ব বুঝে আইনজীবী এম এল শর্মাকে ফের পিটিশন দাখিল করতে বলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। প্রতিক্রিয়ায় আইনজীবী এম এল শর্মা জানান, দ্রুত সংশোধিত হলফনামা জমা করেবেন তিনি।
ঠিক এই সময়েই প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর স্পেশাল বেঞ্চে আর এক আইনজীবী শাকির শাবির জানান, তিনিও ৩৭০ ধারা বিলোপে রাষ্ট্রপতির নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আর একটি পিটিশন দিয়েছেন। শীর্ষ আদালতের বিশেষ বেঞ্চ জানায়, কাশ্মীর প্রসঙ্গে দাখিল হওয়া চারটি পিটিশনেই সমস্যা রয়েছে। এই পিটিশনগুলি রেজিস্ট্রি সহ সংশোধন করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর উপত্যকা জুড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হয়েছে, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ করে গত সপ্তাহে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কাশ্মীর টাইমসের সম্পাদক অনুরাধা বাসিন। হলফনামায় আরও দাবি করা হয়, শ্রীনগর ও জম্মু থেকে তাঁদের সংবাদ প্রকাশনায় বাধা আসছে। শুক্রবার এই পিটিশন প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি সংবাদপত্রেই পড়েছেন টেলিফোন সংযোগ ব্যবস্থা চালু হয়ে গিয়েছে। বিচারপতি বোবদে বলেন, জম্মু-কাশ্মীর হাইকোর্ট থেকে তিনিও টেলিফোন পেয়েছেন। এরপর সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানি মুলতবি করা হয়।

Comments are closed.