কাশ্মীরে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে এবার নামলো এনএসজি

কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়ে  প্রাণ হারালেন তামিলনাডুর পর্যটক। সোমবার কাশ্মীরের বঁদগাম এলাকায় বাসে করে সফর করছিলেন বছর ২২ এর থিরুমনি। সেনার বিরুদ্ধে স্থানীয়রা পাথর ছুঁড়ে প্রতিবাদের  সময় মাঝখানে পড়ে দূর্ভাগ্যবশত মৃত্যু হয় তাঁর। এদিকে, কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার জন্য এবার ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি মোতায়েন করল কেন্দ্রীয় সরকার। ক্ষয়ক্ষতির ও প্রাণহানি কমিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে যে কোনও রকম সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে এনএসজি সিদ্ধহস্ত। এই কারণেই কাশ্মীরে ‘কাউন্টার ইনসারর্জেন্সি গ্রিড’-এর হয়ে এই প্রথম এনএসজির মোতায়েন করা হল বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উপত্যকার সমস্ত রকম ঝুঁকিপূর্ণ অভিযানগুলোর দায়িত্ব নেবে এনএসজি। পাশাপাশি বাড়িতে প্রবেশ করে সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করার মতো গোপনীয় অভিযানগুলিও এবার থেকে শুরু করতে চলেছে কমান্ডো বাহিনী। এই ধরনের অভিযানগুলোয় সাধারণ মানুষের মৃত্যু বেশি হয়ে থাকে। তাই সেই দিকে নজর রেখেই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ। গত ৪ মে স্বরাষ্ট্র সচিব রাজীব গুয়াবা জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিস ও আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে এনএসজি প্রথমে অভিযান-কৌশল তৈরি করবে। সেই কৌশল অনুযায়ী উপত্যকার স্পর্শকাতর ও জনবসতিপূর্ণ এলাকায় সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে এবার থেকে রাজ্য পুলিসের সঙ্গ দেবে কমান্ডো বাহিনী। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সমস্ত অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামের মাধ্যমে কাশ্মীর পুলিশ এবং আধা-সেনাকে প্রশিক্ষণও দেবে কমান্ডোরা। এনএসজি’র ডিজি সুদীপ লাকটাকিয়া জানান, ‘স্থানীয় পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই সমস্ত অভিযান ও প্রশিক্ষণ প্রক্রিয়া চালানো হবে’। দেশের এই ‘এলিট’ বাহিনী ‘ব্ল্যাক ক্যাট’ নামেও পরিচিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের মুম্বই হামলা, ২০১৫ র পাঠানকোট হামলাসহ একাধিক সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে সাফল্য লাভ করেছে এই এনএসজি।

Leave A Reply

Your email address will not be published.