কেন্দ্রে তৈরি হোক অকংগ্রেস-অবিজেপি সরকার। কিন্তু সেই সরকারের মুখ কে হবেন। উত্তর প্রদেশ থেকে ভেসে আসছে মায়াবতী, অখিলেশের নাম অন্যদিকে বাংলা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার দক্ষিণ ভারত থেকে কাউকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী বাছতে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও। যে বৈঠক উসকে দিল নতুন এক সমীকরণের ইঙ্গিত।
সোমবার ছিল দেশে পঞ্চম দফার ভোট। সেদিন রাতেই কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর তিরুবনান্তপুরমের বাসভবনে বৈঠক করেন কেসিআর। সূত্রের খবর, দিল্লিতে অবিজেপি ও অকংগ্রেস ফেডারেল ফ্রন্টের সরকার গড়ার বিষয়ে কেসিআর ২ ঘন্টা ধরে আলোচনা করেন সিপিএম পলিটব্যুরো সদস্য পিনারাই বিজয়নের সঙ্গে। লোকসভা ভোট শুরুর পর সোমবারের বৈঠককে প্রথম অবিজেপি ও অকংগ্রেসি নেতৃত্বের আলোচনা বলা হচ্ছে।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও অবিজেপি ও অকংগ্রেসি তৃতীয় ফ্রন্ট সরকার গড়ার পক্ষে সওয়াল করছেন। তৃতীয় ফ্রন্টের সরকার গড়তে, বিজেপি ও কংগ্রেস বিরোধী দলগুলিকে এক ছাতার নীচে আনার জন্য ভোটের আগে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেডি সভাপতি নবীন পট্টনায়েকের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনাও সেরেছেন কেসিআর। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মমতা জানান, এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য কয়েকদিনের মধ্যে ফের বাংলায় আসছেন কেসিআর।
সোমবার রাতে দক্ষিণের দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে ফেডারেল ফ্রন্ট নিয়ে আলোচনার মধ্যে ছিল, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাকে এগিয়ে রাখছেন তাঁরা। সূত্রের খবর, কোনও বিশেষ নাম নিয়ে আলোচনা না হলেও, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে দক্ষিণ ভারতের কাউকে বসানোর সওয়াল করেছেন কেসিআর। পাশাপাশি, ওয়েনাড় কেন্দ্রে বিজেপি প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী না হওয়া সত্ত্বেও কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কেন বাম জোটের বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়িয়েছেন, তা নিয়েও দুই মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা হয় বলে খবর।
তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর তৃতীয় ফ্রন্টের পক্ষে সওয়াল করলেও, বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁকে দেখা গিয়েছে বিজেপি সরকারকে সমর্থন করতে। আবার কেসিআরের তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস)কে বিজেপির ‘বি টিম’ বলে কটাক্ষ করে কংগ্রেস দাবি করেছে, শুধুমাত্র বিজেপিকে সুবিধা করে দেওয়ার জন্যই ফেডারেল ফ্রন্ট গড়ার চেষ্টা করছেন কেসিআর।
কংগ্রেসের সমালোচনায় কান দিতে নারাজ কেসিআর। আগামী ১৩ ই মে ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন টিআরএস প্রধান।