মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে জটিলতা অব্যাহত, রাজ্যপালকে শিবসেনার চাপ, বিজেপিকেই ডাকুন

হাতে সময় আর মাত্র ৭২ ঘণ্টা। মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জন্য সোমবার দিনভর চূড়ান্ত ব্যস্ততা ও তৎপরতা চলল যেমন দিল্লিতে তেমন মহারাষ্ট্রে। দফায় দফায় বৈঠক হলেও সন্ধে পর্যন্ত মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যাপারে জট কাটেনি। সকালে দিল্লিতে মহারাষ্ট্রের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিস একদফা বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর। যদিও ফড়নবিসের দাবি, সরকার গড়া নিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে কোনঅ কথা হয়নি। আলোচনা হয়েছে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও দাবি করেন, সরকার তাঁরাই গড়বেন। সন্ধ্যায় এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বৈঠক করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে। এদিকে সন্ধেতেই শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত রাজভবনে যান রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি সঙ্গে দেখা করতে। সূত্রের খবর, তিনি রাজ্যপালকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে বিজেপিকে সরকার গড়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। রাত পর্যন্ত সেই বৈঠক চলে। তার আগে সঞ্জয় বলেন, রাজ্যপালকে আমরা একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দলকেই সরকার গড়ার জন্য ডাক দিতে বলব। তারা যদি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে না পারে তাহলে আমরা অগ্নিপরীক্ষা দিতে প্রস্তুত।
৫৬ আসন পাওয়া বিজেপির জোট শরিক শিবসেনার হুঁশিয়ারি, মোট ১৭০ বিধায়কের সমর্থন আছে তাদের পক্ষে। ২৮৮ আসনের বিধানসভায় ১৭০ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলতে শিবসেনা যে এনসিপির ৫৪, কংগ্রেসের ৪৪ এবং নির্দল বিধায়কদের দিকেই ইঙ্গিত করছে তা একরকম পরিষ্কার। কংগ্রেস এবং এনসিপি আগে বলেছিল, তারা সরকার গড়ার দৌড়ে নেই। কিন্তু সময় যত গড়াচ্ছে ততই দুই দলের মধ্যে থেকেই শিবসেনার সঙ্গে জোট গড়ার বা বাইরে থেকে সমর্থন করার দাবি জোরদার হচ্ছে। তবে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে তা অনেকটাই নির্ভর করছে সনিয়া-পাওয়ার বৈঠকের উপর।

Comments are closed.