বিজেপির মার্কামারা একজনকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য করে নিয়ে এসেছে। আর কাউকে পায়নি! নাম না করে এভাবেই বোলপুরের জামবুনির সভা থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
তাঁর অভিযোগ, বিশ্বভারতী থেকে রবীন্দ্র সংস্কৃতিকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানে ঘৃণ্য ও বিদ্বেষমূলক রাজনীতি আমদানি করা হয়েছে।
দিন কয়েক আগেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি ছিল, অমর্ত্য সেনকে অপমান, কেন পৌষমেলা বন্ধ হল, ২৯ ডিসেম্বর বোলপুরের সভা থেকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে সব কৈফিয়ত নেবেন। সেই কথা মতো এদিনের মমতার বক্তব্যের বেশিরভাগ জুড়ে ছিল বিশ্বভারতী প্রসঙ্গ। বিজেপিকে নিশানা করে মমতার অভিযোগ, অমর্ত্য সেনকে আক্রমণ করা হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনকে অপমান করা হচ্ছে। বলেন, কিছু বহিরাগত আসছে যারা জানে না বাংলার সংস্কৃতি কী। রবীন্দ্রনাথ, বিবেকানন্দ, গান্ধীজিকে অপমান করছে তারা। এরপরে নাম না করে বিশ্বভারতীর উপাচার্যকে তীব্র আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ওনার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত রাগ নেই। কিন্তু উপাচার্যের জন্য কি আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি যে বিজেপির মার্কামারা একজনকে উপাচার্য করে নিয়ে এসেছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য ‘বিজেপির স্ট্যাম্প মারা’ বলে তোপ দাগেন মমতা। তিনি যোগ করেন, কই আমি তো কলকাতা, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সংকীর্ণ রাজনীতির কথা বলি না।
Comments