করোনা ও লকডাউন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ডাকা দু’দিনের বৈঠকে কেন বক্তা নন মমতা ব্যানার্জি? প্রশ্ন তুলল তৃণমূল

করোনাভাইরাস ও লকডাউন পরিস্থিতি নিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরপর দু’দিনের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি কেন বক্তা তালিকায় নেই, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল তৃণমূল। সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী থেকে রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ট্যুইটারে এ নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, মহামারি পরিস্থিতির মধ্যেও গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের চেষ্টা চলছে।
তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার ট্যুইটারে লেখেন, কেন্দ্রের ব্যাখ্যা দেওয়া উচিত, এই অতিমারির সময়েও তারা কেন বাংলার প্রতি এতটা বিরূপ। এই অভূতপূর্ব সংকটের সময়ে একসঙ্গে লড়াই করা উচিত ছিল। কিন্তু বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কেন বলার জন্য সুযোগ দেওয়া হল না, কেন তাঁকে বলতে দিতে এতই ভয় পান?
তৃণমূল নেতা দীনেশ ত্রিবেদী ট্যুইট করেন, মনে হচ্ছে, করোনা পরিস্থিতিতে গঠনমূলক সমালোচনা শুনতে ভয় পাচ্ছে কেন্দ্র। সেই ভয় এতটাই যে, প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে নীরব দর্শকের ভূমিকা দেওয়া হয়েছে। বাংলার মানুষ এটা কখনও ক্ষমা করবে না, লেখেন দীনেশ ত্রিবেদী। অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করার প্রচেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। গঠনমূলক সমালোচনা শুনতেই রাজি নয় মোদী সরকার।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের এই বৈঠকে ২০ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রে খবর। বুধবারও বৈঠক রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে ‘আনলক-১’ পর্ব। এর মধ্যে কোন রাজ্যের করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি কী রকম, সেই বিষয়টি জানার পাশাপাশি ৩০ জুনের পর কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় ভারত-চিন সেনার সংঘর্ষে ভারতীয় সেনার মৃত্যুর পর মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে এই বৈঠক নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও এদিন দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়, বৈঠক হবে নির্ধারিত সময়েই। করোনা পরিস্থিতিতে এ নিয়ে ষষ্ঠ বার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী।

Comments are closed.