প্রায় এক মাস আগে প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ত্রিপুরা সরকারের কাছে বাড়ি এবং গাড়ি চেয়েছিলেন মানিক সরকার। তা নিয়ে বিজেপির রাজনীতি অসৌজন্যের পরিচয়, জানাল রাজ্য সিপিএম

প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সরকারের কাছে আলাদা বাড়ি এবং গাড়ির জন্য মানিক সরকার যে আবেদন করেছেন তাতে ত্রিপুরা সরকারের ভূমিকাকে ‘তীব্র অসৌজন্য’ বলেই মনে করছে রাজ্য সিপিএম। মার্চ মাসের ২৬ তারিখ ত্রিপুরার ২০ বছরের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর জন্য একটি বাড়ির বন্দোবস্ত করার আবেদন জানিয়ে নতুন নির্বাচিত বিজেপি সরকারকে চিঠি লেখেন। সেই সঙ্গে তাঁর জন্য একটি গাড়িরও আবেদন করেন তিনি। সেই চিঠির পর প্রায় এক মাস হতে চললেও, এখনও বিজেপি সরকারের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি ত্রিপুরার বিরোধী দল সিপিএমকে। শুধু তাই নয়, পুরো বিষয়টা নিয়ে ত্রিপুরার বিজেপি নেতারা যেভাবে মানিক সরকারকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছেন তাতে অত্যন্ত ব্যথিত রাজ্যের প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী। এই বিষয় নিয়ে মানিক সরকার প্রকাশ্যে মুখ না খুললেও, ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, সামান্য বিষয় নিয়ে বিজেপি নেতারা যে অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন, তা নিয়ে কথা বলতে তাঁর রুচিতে বাধে।
যদিও ত্রিপুরা সিপিএমের মুখপাত্র এবং দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গৌতম দাস জানান, ‘রাজ্যের প্রাক্তণ মুখমন্ত্রীরা থাকার জন্য সরকারি বাড়ি পান। এটা ত্রিপুরায় দীর্ঘ দিনের রেওয়াজ। প্রত্যেক প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রীই সরকারি থাকার জায়গা পেয়ে থাকেন। তাছাড়া সরকার থেকে একটা বোলেরো গাড়ি মানিক সরকারের জন্য পাঠানো হয়েছিল, যা ইতিমধ্যেই এক লক্ষ ৪০ হাজার কিলোমিটার চলেছে। প্রায় দেড় লক্ষ কিলোমিটার চলা একটা বোলেরো গাড়ি পাঠানো হচ্ছে প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার জন্য? এটা সৌজন্য?’ গৌতমবাবু আরও জানান, ত্রিপুরার প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রীর নিজস্ব থাকার কোনও জায়গা নেই। তাছাড়া সরকারি নিয়ম মেনেই বাড়ি চাওয়া হয়েছিল। এদিকে, ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার সূত্রের খবর, সরকারি কিছু কোয়ার্টার এখন নির্মাণের কাজ চলছে। তার কাজ শেষ হলে মানিক সরকারের জন্য কোয়ার্টার বরাদ্দ করা হবে।

Leave A Reply

Your email address will not be published.