দেশে সেনা শাসনকে উপেক্ষা করে ইয়াঙ্গনের পথে আজ প্রতিবাদ-মুখর মায়ানমারবাসী। প্রায় এক সপ্তাহ আগের ঘটনা, মায়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে গৃহবন্দি করে দেশে সেনা শাসন শুরু হয়েছে। গত সোমবার সেনা-মহল থেকে খবর দেওয়া হয়েছে আগামী একবছর মায়ানমারে চলবে জরুরি অবস্থা। হঠাৎ করে সেনাবাহিনীর দেশ দখল নেওয়ার কারণে গণতন্ত্রকামী জনগণ ফুঁসছে। দেশজুড়ে বিক্ষোভের আগুন যাতে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য মায়ানমারের নয়া সেনা সরকার ফেসবুক, টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামকে নিষিদ্ধ করে। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবা।
১ ফেব্রুয়ারি আচমকাই মায়ানমারের সেনা অভ্যুত্থান ঘটে। গৃহবন্দি করা হয় এনএলডি-র নেত্রী অং সান সু চি এবং প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকে। হঠাৎই দেশের নির্বাচিত সরকারকে এভাবে ক্ষমতাচ্যুত করে বন্দি করার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবার থেকে দেশজুড়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়েছে। এনএলডি-র নেত্রী ও প্রেসিডেন্ট মিন্টের মুক্তি এবং পুনরায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠান দাবিতে পথে নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। সেই প্রতিবাদ মিছিল থাকা এক যুবক জানায়, তাণ্ডব নয়, তাঁদের উদ্দেশ্য শুধুই দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
রোজের মতোই রবিবার অঙ্গনের রাস্তায় দলে দলে বেড় হয়েছিল গাড়ির মিছিল। পরিস্থিতি সামাল দিতে বহু সংখ্যক পুলিশ ছিল রাস্তায়। তাদের সঙ্গে ছিল জলকামানও। যদিও দিনের শেষে সে ভাবে কোনও সংঘাতের খবর মেলেনি। সেনা-পুলিশকে দায়িত্বশীল হওয়ার ব্যাপারে অবশ্য আগেই সতর্ক করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠন।
নভেম্বরের ভোটের পর, গত সোমবার নির্বাচনের পরে প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাতারাতি এই সেনা অভ্যুত্থান অধিবেশনের পথে বাদ সাধল। সেনার তরফ থেকে জানানো হয়েছে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা কাঁটার পর আবার ভোট হবে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনভাবেই মান্যতা দিতে রাজি নয় রাষ্ট্রপুঞ্জে নিরাপত্তা পরিষদ। আটক করা নেতাদের মুক্তি চেয়ে ফের সরব হয়েছে মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসের অফিস।